
ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিগত ৪ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে আফগানিস্তান। বিগত ৪ বছরে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ৪০টি উল্লেখযোগ্য অর্জন উপস্থাপন করা হল:
১) শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন।
২) সকল প্রতিপক্ষকে ব্যাপকভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা।
৩) শান্তি আনয়ন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি।
৪) একটি কেন্দ্রীভূত সরকার ও সমগ্র দেশের উপর শাসন প্রতিষ্ঠা।
৫) শক্তিশালী ও সংগঠিত সামরিক, পুলিশ বাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিষ্ঠা।
৬) বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও তাদের উপকরণ নির্মূল।
৭) জাহেলী সাম্প্রদায়িকতা ও ভাষাগত বিদ্বেষ দূরীকরণ।
৮) মাদক উৎপাদন, চাষাবাদ ও বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে নির্মূল।
৯) অসংখ্য মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, ১ লক্ষ ২০ হাজার মাদকাসক্ত ব্যক্তি এখন চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
১০) দেশের নিজস্ব আয় থেকেই বাজেট প্রস্তুতির নিশ্চয়তা।
১১) দেশের সর্ববৃহৎ মেগাপ্রকল্প কুশতেপা খালের খনন কার্যক্রম শুরু।
১২) উল্লেখযোগ্য জাতীয় অংশগ্রহণ উদ্যোগ, ৪ বছরে ১০৫টি নতুন প্রকল্প বিকাশ লাভ করেছে, এর মধ্যে ৭০টি কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট।
১৩) সালাং মহাসড়কের সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়ন।
১৪) আফগান অংশে টিএপিআই গ্যাসলাইন প্রকল্পের নির্মাণ কার্যক্রম শুরু, ইতোমধ্যে ১৫ কিলোমিটার পাইপলাইন সম্পন্ন এবং লাইন স্থাপনের জন্য ৬০ কিলোমিটার জুড়ে জমি প্রস্তুত করা হয়েছে।
১৫) আফগানিস্তানে সিএএসএ ১০০০ বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পের ব্যাপক অগ্রগতি।
১৬) মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াকে সংযোগকারী ট্রান্স-আফগান রেলওয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি, ইতোমধ্যে সমীক্ষা চুক্তি সম্পাদিত।
১৭) শিল্প খাতে লক্ষাধিক একর জমি বিতরণ এবং ৬ হাজার শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা।
১৮) আফগান মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও মান বৃদ্ধি।
১৯) দেশে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তৈরি।
২০) অবৈধ খনি আহরণ নিয়ন্ত্রণ, খনি খাতের উপার্জিত আয় জাতীয় রাজস্বে একত্রিতকরণ। ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের খনি কার্যক্রম গ্রহণে চুক্তি স্বাক্ষর।
২১) স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে বৈদেশিক সাহায্যের তুলনায় অভ্যন্তরীণ আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি।
২২) শত শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প আরম্ভ। বিশেষত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সম্প্রতি একটি দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
২৩) কাবুল শহরে কাবুল পৌরসভা কর্তৃক অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং অসংখ্য রাস্তাঘাট নির্মাণ।
২৪) ৪৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কাবুল-কান্দাহার জাতীয় মহাসড়ক পুনর্নির্মাণ এবং কাবুল-গজনি দ্বিতীয় সড়ক লাইনের সূচনা এবং কাবুল-জালালাবাদ জাতীয় মহাসড়কের দ্বিতীয় লাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
২৫) ইস্পাত শিল্পে স্বনির্ভরতা অর্জন।
২৬) হেরাত প্রদেশে পাশদান বাঁধ, ফারাহ প্রদেশে বাখশাবাদ বাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা। বিভিন্ন জেলায় ৪১০টি চেকড্যাম নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন।
২৭) রপ্তানি উপার্জন ৮০ কোটি মার্কিন ডলার হতে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত। বিগত অর্থবছরের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
২৮) আমু দরিয়াকে কাজে লাগানো এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর নির্মাণ।
২৯) সরকারি জমি দখল প্রতিরোধ।
৩০) লক্ষ লক্ষ আফগান শরণার্থীকে সর্বোচ্চ পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৩১) সাড়ে ৬ লক্ষ এতিম, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য মাসিক উপবৃত্তি ব্যবস্থা করা।
৩২) ভিক্ষুকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন, প্রকৃত অভাবীদের সহায়তা প্রদান।
৩৩) কাবুলে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পিএইচডি লেভেল পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ তৈরি এবং বিদেশী শিক্ষাবিদদের সাথে সমন্বয় গড়ে তোলা।
৩৪) শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা। এর মধ্যে রয়েছে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান।
৩৫) জাতীয় বিভাগ ও মহাসড়কে অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ।
৩৬) ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ৷
৩৭) ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সীমানা, স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষা করা৷
৩৮) অসংখ্য জাতীয় ও সাংগঠনিক বিরোধ নিরসন৷
৩৯) সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা, যার ভিত্তি হল ইসলামী নীতি ও জাতীয় স্বার্থ।
৪০) সকল জাতির সাথে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
তথ্যসূত্র:
1. Four years, forty achievements; What wonders has the IEA wrought for Afghanistan?
– https://tinyurl.com/5muf3jv7


