
১৯ আগস্ট ১৯১৯ সাল, তৎকালীন ঔপনিবেশিক ও পরাশক্তি ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছিল আফগানিস্তান। স্বাধীনতা অর্জনের ১০৬ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রদান করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। বিবৃতিতে এই দিনটিকে দেশের দৃঢ়তা, ত্যাগ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একটি দলিল হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে।
এই স্বাধীনতা ছিল আফগান জনগণের ত্যাগ, সংগ্রামে ও জিহাদের ফলাফল। ফলস্বরূপ আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটেন, পররাষ্ট্র নীতিতে আফগানিস্তানের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই দিবসকে একটি জাতীয় গৌরবের দিন হিসেবে বর্ণনা করেছে ইমারতে ইসলামিয়া। উক্ত সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আরও দুই পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জিহাদে বিজয় লাভ করে আফগানিস্তান। এক শতাব্দীর মধ্যে ৩টি দখলদার পরাশক্তিকে পরাজিত করেছে আফগানিস্তান, যা আফগান মুসলমানদের বীরত্ব ও ত্যাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে পূর্ববর্তী মুজাহিদিনদের বীর গাঁথাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে ও তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়েছে, মুজাহিদরাই প্রত্যেক যুগে দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে ঈমানী চেতনা নিয়ে অবিচলভাবে লড়াই করে গেছেন।
কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইমারতে ইসলামিয়ার বিজয় দিবস পালিত হয়েছিল। এই দিবসগুলো মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশের জন্য আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদেরকে অবশ্যই শরিয়তকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে, প্রত্যেক সাফল্যকে মহান আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহ হিসেবে গণ্য করতে হবে।
তথ্যসূত্র:
1. Afghanistan marks 106th Independence Anniversary with calls for unity and reflection
– https://tinyurl.com/3k6ectyn


