
পাকিস্তানের খাইবার এজেন্সির তিরাহ উপত্যকায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি ক্যাম্পে শক্তিশালী ইস্তেশহাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিরোধ বাহিনী “ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তান” এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, ইস্তেশহাদী হামলার পর পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়, এবং পরবর্তীতে মুজাহিদিনরা সম্পূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন।
ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তানের (আইএমপি) কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান হাফিযাহুল্লাহ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া (এক্স) অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করেছেন যে, গত শুক্রবার ২৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সকাল ১০:২৫ মিনিটের সময়, (আইএমপি) এর সাহসী মুজাহিদ ক্বারী উমর আফ্রিদি, শত্রু সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বীরত্বপূর্ণ একটি সফল ইস্তেশহাদী হামলা চালিয়েছেন।
পাকিস্তানের খাইবার এজেন্সির তিরাহ উপত্যকায় অবস্থিত সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযানটি চালানো হয়। এই আক্রমণের সময়, ঘাঁটির ভিতরে কয়েক ডজন শত্রু সৈন্য এবং একটি কনভয়ও সেখানে উপস্থিত ছিল। ইস্তেশহাদী মুজাহিদের উক্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণের ফলে শত্রু সামরিক ঘাঁটির অর্ধেক অংশ ধসে পড়ে। ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনীর ২টি ইউনিটের অন্তত ৩১ সৈন্য নিহত এবং আরও ২৩ সৈন্য আহত হয়েছে। এছাড়াও শত্রু বাহিনীর ব্যাপক বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে।
এই অভিযানের পর এলাকায় সেনাবাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণের ফলে শত্রু বাহিনী তাদের নিহত এবং আহত সৈন্যদের দেহগুলো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তুলতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণের সামনে ব্যর্থ এই বাহিনী আতঙ্কিত অবস্থায় নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের উপর মর্টার শেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। ফলে চারজন নিরীহ শিশু শহীদ হয় এবং অনেকে আহত হন।
এদিকে মুজাহিদিনরাও পরাজিত শত্রু বাহিনীর উপর ভারী পাল্টা আক্রমণ করেন এবং শত্রু বাহিনীকে এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য করেন। আইএমপি মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, এই লড়াই শুরুর পর সম্পূর্ণ এলাকার উপর মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/33ftjsf7


