গাজায় মুজাহিদদের যুগান্তকারী অপারেশন: ৪ সেনা বন্দী সহ নিহত ২, গুরুতর আহত ১৩

0
194

তুফানুল আকসা অপারেশন শুরুর পর গাজায় গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদিনরা।

আঞ্চলিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আল-কাসসাম ব্রিগেডের বীর মুজাহিদিনরা, গত ২৯ আগস্ট মধ্য রাতে, গাজায় জায়োনিস্ট বাহিনীকে টার্গেট করে একটি জটিল অ্যাম্বুশ শুরু করেন। মুজাহিদিনরা শনিবার রাতে গাজা শহরের উত্তেজনাপূর্ণ আল-জায়তুন এলাকায় অবস্থিত জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে বিভিন্ন দিক থেকে বেশ কয়েকটি সাহসী আক্রমণের মাধ্যমে অ্যাম্বুশটি পরিচালনা করেন।

এসময় মুজাহিদদের হামলার শিকার জায়োনিস্ট বাহিনীকে সহায়তা করতে সংঘর্ষের স্থানে ইসরায়েলি হেলিকপ্টার ও গানশিপগুলো অংশ নেয়। কিন্তু মুজাহিদিনরা শত্রুর এই গানশিপগুলো লক্ষ্য করেও তীব্র গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এই ধারাবাহিকতায় জায়োনিস্ট বাহিনীর ভারী গুলিবর্ষণ স্বত্তেও মুজাহিদিনরা বীরত্বের সাথে টানা ৪ ঘন্টা যাবত স্থল ও আকাশ পথে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে যান।

মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানের ফলে, নিশ্চিতভাবে জায়োনিস্ট বাহিনীর ২ সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত হয়েছে। হতাহত এই সৈন্যদের মধ্যে ১৩ সেনার অবস্থা গুরুতর ছিলো। এসময় নিখোঁজ হয় আরও ৪ জায়োনিস্ট সৈন্য, যাদের খোঁজে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি অনুসন্ধানী টিম ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান চালানো শুরু করে। কিন্তু এই দলটিও মুজাহিদদের ভারী অতর্কিত আক্রমণের শিকার হয় এবং নিখোঁজ সৈন্যদের উদ্ধার না করেই ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আশঙ্কা করছে যে, নিখোঁজ জায়োনিস্ট সৈন্যরা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়ে থাকতে পারেন। এমন আশঙ্কাকে আরও মজবুত করে দিচ্ছে শনিবার সন্ধ্যায় আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদাহ (হাফিযাহুল্লাহ্) এর একটি বক্তব্য। যেখানে তিনি বলেছেন, গাজা দখলের পরিকল্পনার মূল্য “শত্রু সেনাবাহিনীকে তার সৈন্যদের রক্ত দিয়ে পরিশোধ করতে হবে”। সেই সাথে মহান রব্বুল আলামিনের ইচ্ছায়, মুজাহিদদের হাতে নতুন করে আরও শত্রু সৈন্য বন্দী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

আল-কাসসাম ব্রিগেডের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানের পর কাতারের শিক্ষাবিদ নায়েফ বিন নাহার মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেন: গাজার বীরদের চেয়ে কে বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে পারে? দুই বছর বিচ্ছিন্নতা এবং অনাহারের পরেও তারা শত্রুদের হত্যা এবং বন্দী করছেন!

উম্মাহ কীভাবে এই মানুষগুলিকে ভুলে যেতে এবং পরিত্যাগ করতে পারে, যাদের এই পৃথিবীতে কোন তুলনা নেই?


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/33umaz2r

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিলেট সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা করলো বিএসএফ; আহত আরও ০৪
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ ও দিল্লির স্বার্থ বাস্তবায়নের হাতিয়ার ছিল জাতীয় পার্টি: জিএম কাদেরের নাতি সাকিব রহমান