
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ঘোর, বামিয়ান, ফারাহ, গজনিসহ বিভিন্ন প্রদেশে বিপুল পরিমান সীসা ও দস্তার খনি রয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়ার খনিজ ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এসব খনি উন্নয়নে ইতোমধ্যেই দেশীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একাধিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুমায়ুন আফগান হাফিজাহুল্লাহ জানান, শুধু ঘোর প্রদেশেই চারটি বড় খনি রয়েছে, এবং প্রতিটি খনিতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই হয়েছে অথবা শিগগিরই করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি ইরান ও তুরস্কের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও আফগানিস্তানের সীসা ও দস্তা খনিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষত্রে মন্ত্রণালয়ের শর্ত হচ্ছে, সব ধরনের খনিজ প্রক্রিয়াকরণ অবশ্যই আফগানিস্তানের ভেতরেই করতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আফগানিস্তানের খনি খাতে বিনিয়োগ ও স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়াবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথও প্রশস্ত করবে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আব্দুল জুহুর মুদাবির বলেন, “দেশের ভেতরেই প্রক্রিয়াকরণ হলে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে চূড়ান্ত পণ্য রপ্তানি সম্ভব হয়। আমাদের কাঁচামাল রপ্তানি এড়িয়ে চলাই উচিত।”
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বহু দেশ আফগানিস্তানের খনি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ জানিয়েছে। এর মধ্যে চীন, ইরান, তুরস্ক ও উজবেকিস্তান ইতোমধ্যেই বিনিয়োগ শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. Lead, Zinc Reserves in Afghanistan Attract Growing Investment
– https://tinyurl.com/56ktv32a


