
পশ্চিম নাইজেরিয়ায় জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে নাইজেরিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান পরিচালনার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বছরের পর বছর ধরে নাইজেরিয়ায় “আনসারুল মুসলিমিন” নামে নীরবে কাজ করার পর, পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) এখন বেনিন সীমান্তবর্তি পশ্চিম নাইজেরিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এই ধারাবাহিকতায় দলটি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির কোয়ারা রাজ্যে সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দলটির মুজাহিদিনরা গত ২১ নভেম্বর সকালে, নাইজেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলিয় কোয়ারা রাজ্যের ডুরুমা (কারুনজি) এলাকায় একটি বড় ধরনের সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন। জেএনআইএম এর কয়েক ডজন মুজাহিদ এই অভিযানে অংশ নেন এবং অঞ্চলটিতে অবস্থিত শত্রু বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ চালান। এসময় এলাকায় উভয় বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়। তবে ‘জেএনআইএম’ এর তীব্র আক্রমণের মুখে পরাজয় বরণ করে নাইজেরিয়ান সেনাবাহিনী।
আঞ্চলিক গণমাধ্যমে উক্ত অভিযানের দৃশ্যগুলো নিয়ে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক শত্রু সৈন্যের মৃতদেহ পড়ে আছে। সেই সাথে মুজাহিদিন প্রচুর সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সাঁজোয়া যান, মোটরসাইকেল, পিকে, রাইফেল, গোলাবারুদ বাক্স এবং অন্যান্য বহু সরঞ্জাম।
এদিকে জেএনআইএম নিশ্চিত করেছে যে, এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদিনরা হামলার লক্ষ্যবস্তু নাইজেরিয়ান সেনাবাহিনীর উক্ত সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন।


