পিলখানায় সেনাদের হত্যা পরিকল্পনার বৈঠকে ছিল সোহেল তাজ: কমিশনের প্রতিবেদন

0
90

পিলখানায় সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন প্রায় ১১ মাস তদন্ত শেষে গত ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এই কমিশনের প্রধান হলেন মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়।

তদন্ত কমিশনের ৩৬০ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার তাপসের বাসায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের উপস্থিতিতে বিডিআর সদস্যদের একাধিক বৈঠক হয়। একটি বৈঠকে অফিসারদের জিম্মি করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়, পরে তা পরিবর্তন করে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ ও শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের উপস্থিতিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ জনের একটি দল বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাপসকে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একাধিক বৈঠকে উপস্থিত ছিল আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, লেদার লিটন ও তোরাব আলী। এসব পরিকল্পনা সম্পর্কে ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিও কর্নেল শামস অবগত ছিল এবং তাপস তৎকালীন শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্তের অনুমোদন নেওয়ার দায়িত্বে ছিল।

সাধারণ বিডিআর সদস্যদের ডাল-ভাত কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভকে উসকে দিয়ে বিডিআর বিদ্রোহ সৃষ্টি করার মাধ্যমে মূল পরিকল্পনা দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা হয়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিডিআরের কিছু সদস্যের সাথে শেখ তাপস, শেখ সেলিমসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে। বাসা, অফিস, মসজিদেও এ রকম কিছু বৈঠক হয় বলে সাক্ষ্যপ্রমাণে বেরিয়ে এসেছে। বাস্তবায়ন ও হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বিডিআর সদস্যদের মধ্যে বিপুল অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল।

তদন্তে উঠে আসে, সংসদ সদস্য গোলাম রেজা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পিলখানা এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিম, সাবেক এমপি মোর্শেদ, শেখ সেলিম ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখেছেন।


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/5t3esef5

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪টি মিসাইল লঞ্চার মেরামতের মাধ্যমে সক্রিয় করেছে ইমারাতে ইসলামিয়ার আল-বদর সামরিক কোর
পরবর্তী নিবন্ধশরণার্থী পরিবারদের জন্য নতুন শহর নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন করেছে ইমারাতে ইসলামিয়া