কথিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে সন্ত্রাসী মোদী সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের কাছে কী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তা জানতে আমরা জানতে চাই। কথিত সরকার ভারতকে ইসরায়েল বানানোর ষড়যন্ত্র করছে।
মিল্লাত টাইমস আরো জানায়, আসাদুদ্দিন ওয়াইসি আরো বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল বা সিএবি বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। এটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। বিগত লোকসভার মেয়াদে অকার্যকর হয়ে ওঠা এই বিলটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উপস্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে। এআইএমআইএম এর প্রধান অসাদুদ্দিন ওয়াইসি এ বিষয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল আনার উদ্দেশ্য ভারতকে ধর্ম ভিত্তিক দেশ হিসাবে গড়ে তোলা। ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনও তফাত থাকবে না। সংবিধানের চেতনা ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের প্রশ্ন উত্থাপন করে না।
ওয়াইসি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, কেউ যদি নাস্তিক হয় তবে আপনি কী করবেন? ‘এই জাতীয় আইন করার পরে, সারা বিশ্ব আমাদের দেশকে নিয়ে মজা করবে’ যে ভারত হিন্দু বৈদ্ধ খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দিবে, কিন্তু মুসলিমদের কে নাগরিকত্ব দিবে না।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, বিজেপি সরকার ভারতের মুসলমানদেরকে এটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে মুসলিমরা ভারতের প্রথম শ্রেণির নাগরিক নন, দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক?
তিনি আরও বলেন, এদেশে ১০০ মিলিয়ন হিন্দু রয়েছে, তাই বলে তারা যা ইচ্ছে তাই করবে তা হতে পারে না। যে বিল ইচ্ছে পাশ করবে এটা অমানবিকতা ছাড়া আর কিছুই না।
উল্লেখ্য,গত বুধবার ভারতের কথিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিলটি পার্লামেন্টে আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গিয়ে ভারতে শরণার্থী হওয়া হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসি সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে বিলে। খবরঃ আওয়ারইসলাম২৪
এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে পুনরায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আসামে এনআরসি থেকে ১৯ লাখ মানুষের বাদ পড়ার পর একই আতঙ্কে ১২ জনেরও বেশি মানুষ রাজ্যটিতে আত্মহত্যা করেন। যার কয়েকজনই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।