উন্নাও: শুধু ১০০-র কাছাকাছি ধর্ষণ নয়। ২০০-র কাছাকাছি যৌন হেনস্থাও ঘটেছে এই এক বছরে। এই পরিসংখ্যান কেবল নথিভুক্ত হয়েছে, নথিভুক্ত না হওয়া রোজের এমন নানা ধর্ষণ আর হেনস্থা জুড়লে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে ইয়ত্তা নেই!
সাল ২০১৯। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে নভেম্বর অবধি মোট ৮৬ টি ধর্ষণের ঘটনা সন্ত্রাসী যোগী রাজ্যের শহর উন্নাওতে (Unnao)! নির্দ্বিধায় এই জেলা এখন উত্তরপ্রদেশের ‘ধর্ষণের রাজধানী’ (rape capital of Uttar Pradesh) হিসাবে পরিচিত হওয়ার সমস্ত যোগ্যতাই অর্জন করে ফেলেছে। শুধু ১০০-র কাছাকাছি ধর্ষণ নয়। ২০০-র কাছাকাছি যৌন হেনস্থাও ঘটেছে এই এক বছরে। এই পরিসংখ্যান কেবল নথিভুক্ত হয়েছে, নথিভুক্ত না হওয়া রোজের এমন নানা ধর্ষণ আর হেনস্থা জুড়লে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে ইয়ত্তা নেই! উন্নাওয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৩১ লক্ষ। উন্নাও লখনউ থেকে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার এবং কানপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রতিবেদন অনুসারে, এই একই সময়কালে এই জেলা থেকে মহিলাদের যৌন হেনস্থার ১৮৫ টি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কুলদীপ সেঙ্গার এবং গত বৃহস্পতিবার ঘটনা, যাতে ধর্ষিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেগুলি ছাড়াও একটি বিশিষ্ট মামলা হ’ল পূর্বায় এক মহিলার ধর্ষণ। এ বছরের ১ নভেম্বর ওই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
উন্নাওয়ের আসোহা, আজগাইন, মাখি এবং বাঙ্গারমাউয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা হয় প্রথমে গ্রেফতার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছে বা পালিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেছে।
আজগাইনের বাসিন্দা রাঘব রাম শুক্লা বলেছে, “উন্নাওয়ের পুলিশ পুরোপুরি রাজনীতির পুতুলে পরিণত হয়েছে। ওপর মহলের রাজনৈতিক কর্তাদের অনুমতি না পেলে তারা এক ইঞ্চিও নড়বে না। এই মনোভাব অপরাধীদের আরও উত্সাহিত করছে।”
স্থানীয় একজন আইনজীবী বলেন, “এখানে অপরাধকে কেন্দ্র করে রাজনীতি চলছে। রাজনীতিবিদরা এখানে রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ বুঝে নেওয়ার জন্য অপরাধকে ব্যবহার করছে এবং পুলিশ তাদের হাতের পুতুল হয়ে রয়েছে।