আল কায়েদার সোমালিয়ান শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বিস্তীর্ণ ভূমিতে আল্লাহর শরি’আহ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। শরীয়াতের নির্দেশানুযায়ী তাই প্রতি বছর হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যাকাতের মাল হিসেবে উত্তোলিত পশু দরিদ্র মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সম্প্রতি হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের অফিসিয়াল মিডিয়া ‘আল-কাতায়িব’ এর পক্ষ থেকে “শরি’আর ফল-৪, প্রথম পর্ব-১৪৪০ হিজরির পশুর যাকাত বিতরণ ” শিরোনামে প্রায় ৩২ মিনিটের এক অসাধারণ ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখানো হয়, হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে দিওয়ানুয-যাকাত বা যাকাত বিভাগের দায়িত্বে প্রচুর সংখ্যক উট,গরু, ভেড়া ও মেষ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
যেসব প্রদেশে যাকাত বিতরণের দৃশ্য ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে, তা হচ্ছে- জুবা প্রদেশ- বুয়ালি শহর ও জিলিব শহরে,
বাই ও বোকোল প্রদেশের ইয়াক বারাওয়ি শহরে, জুদু প্রদেশের ইল ‘আদি গ্রামে, নিম্ন শাবেলি প্রদেশের কুনিও বোরো গ্রামে, মধ্য শাবেলি প্রদেশের জাম্বুলি গ্রাম এবং হিরান প্রদেশের বাক আকবালি গ্রামে যাকাতের পশু বিতরণ।
পুরো ভিডিওর বিভিন্ন অংশে যাকাতের পরিচয়, যাকাতের ফরজিয়্যাত, যাকাতের শর্তসমূহ, যাকাতের ফজিলত এবং যাকাত বন্টনের খাত আলোচনা করেছেন সম্মানিত মুজাহিদ আলিম শাইখ হাসান ইয়াকুব হাফিজাহুল্লাহ।
এছাড়াও ভিডিওতে দেখা যায় অনেক গরিব মুসলিম হারাকাতুশ-শাবাব আল-মুজাহিদিনের জন্য কাফির-মুরতাদদের উপর আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় কামনা করে দু’আ করছেন।
মুজাহিদদের প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হলেও যাকাতের অর্থ সোমালিয়ার গরিব মুসলিমদের মাঝে বন্টনের মাধ্যমে একদিকে যেমন যাকাতের একাধিক খাতে সম্পদ বন্টন নিশ্চিত করা হয়েছে, অপরদিকে ইসলামি শাসনের অধীনে যাকাতের সুষ্ঠু বন্টন দেখে জনসাধারণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এভাবেই সোমালিয়ায় মুসলিম জনসাধারণের আন্তরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে হারাকাতুশ-শাবাব সোমালিয়ার মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৮০% এলাকায় (যার আয়তন প্রায় আড়াই লাখ বর্গকিলোমিটার) আল্লাহর শরি’আহ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
আরো দেখুন- ফটো রিপোর্ট | ”শরি’আর ফল-৪, প্রথম পর্ব-১৪৪০ হিজরির পশুর যাকাত বিতরণ”