সন্ধ্যা হলেই দোকানিদের সামনে সাজানো টেবিলে দেশি-বিদেশি মদের বোতল। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বসে মদের আসর। এ যেন এক মদের রাজ্য। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান। চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্রসৈকত এখন মাদক সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। সেখানে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। ইচ্ছে হলেই পাওয়া যাচ্ছে নামিদামি ব্রান্ডের বিদেশি মদ, বিয়ার ও ইয়াবা। ঝাউগাছের আড়ালে গড়ে উঠেছে মাদক স্পট। মদের নেশায় বুঁদ হওয়া যুবক ও তরুণদের খিস্তি-খেউড় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আসা নানাবয়সী মাদকসেবী সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকায় মদ-বিয়ার সেবন করে পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও জানায় ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। সৈকতের মাদক কারবারি নাছিম ও তার ভাইয়ের দোকান থেকে মদ খেয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ঘুরতে আসা পাঁচ পর্যটকের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে ও বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সমুদ্রসৈকতের দোকানে বসে সহজে সেবন করা যায় মদ, বিয়ার ও ইয়াবা। আবার অনেকেই মদ বিয়ার ইয়াবা লাগবে কি-না এমনটা ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করে। তেমনি বেলা সাড়ে ১১টায় সৈকতের উত্তর পাশের এক ব্যক্তি মাদক কারবারি নাছিমের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করে ‘ভাই আপনাদের কিছু লাগবে কি-না’। কি লাগবে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ভদকা, বিয়ার আছে। লাগলে নিতে পারেন। দাম পড়বে ৯ শ টাকা। ভেজাল নিলে ৮ শ টাকা।
বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, সৈকতে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করার নিয়ম নেই। যারা এসব মদ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এসব মদ খেয়ে অনেক যুবক প্রাণ হারাচ্ছে ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফাঁড়ি পুলিশ টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ আলম সুমন অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পুলিশ টাকা নেয় না। যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ