ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভ হয়েছে বেঙ্গালুরুতেও। কর্ণাটক প্রদেশের ম্যাঙ্গালুরুতে মসজিদে ঢুকে মুসলিমবিরোধী স্লোগান দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির মালাউন সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী।
গত সপ্তাহে দেশটির নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঠেকাতে ম্যাঙ্গালুরু পুলিশের নৃশংস তাণ্ডবে অন্তত তিনজনের প্রাণহানির ঘটনার পর একাধিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব ভিডিওতে মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের পেটানোর পাশাপাশি পুলিশের নৃশংস তাণ্ডবের দৃশ্য দেখা গেছে।
দেশটির একটি দৈনিক বলছে, ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ বিক্ষোভ দমনে গুলি বর্ষণ করেছে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত দু’জনের। পুলিশের গুলিতে নিহত দু’জনের একজন বৃদ্ধ আব্দুল জলিল। তার ছেলে সাবিল বলেন, ‘চোখের সামনে আমার বাবাকে মেরে ফেলল পুলিশ।’
গত ১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে আসরের নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সাবিল। বের হওয়ার সময় হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলি তাকে ভেদ করে গিয়ে লাগে তার বাবার আব্দুল জলিলের শরীরে। গুলিতে ভেদ হয়ে সাবিল বাঁচলেও বাঁচেননি আব্দুল জলিল। এ ঘটনার পর থেকে এখনও আতঙ্কে রয়েছে সাবিলের পরিবার।
পরিবারের সদস্য সাকিনা বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, তাতে মনে হয় এখনই আমাদের ছেড়ে দেবে না।’ ম্যাঙ্গালুরুতে পুলিশি তাণ্ডবের একাধিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদে ঢুকে গুলি চালিয়েছে ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ। হাসপাতালে ঢুকেও পুলিশি তাণ্ডবের ভিডিও গণমাধ্যমে এসেছে।
ম্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালের কর্মীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, হাসপাতালে ঢুকে পুলিশ মুসলিম বিরোধী স্লোগানও তোলে। সেইদিন বিক্ষোভকারীদের মিছিলেও গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে দু’জন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভকারীদের একটা অংশ জড়ো হয় হাসপাতালের সামনে।
পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে পুলিশ। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের খুঁজছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে একটি ওয়ার্ডের বন্ধ দরজায় লাথি মেরে, লাঠি চালিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করছে। হাসপাতালের একটি সূত্র বলছে, বিক্ষোভকারী ভেবে রোগীর আত্মীয়দের ওপর লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।