কাশ্মীরের স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির কোয়ালিশান অব সিভিল সোসাইটি (জেকেসিসিএস) এক রিপোর্টে বলেছে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর “গণ গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, হয়রানি এবং হুমকি” দেয়া হয়েছে এখানকার মানুষদের।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে “বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় অন্তত ৩৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে”, এবং “বিচার বহির্ভূতভাবে অন্তত ৮০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এর বাইরে ১৫৯ জন গেরিলা এবং ১২৯ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে”।
২০১৯ সালে যে ৮০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে ৫ আগস্টের পর। এদের মধ্যে ১২ জন নারী, আটজন শিশু রয়েছে বলে জেকেসিসিএসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৯ সালে কাশ্মিরে গণগ্রেফতার ছিল খুবই স্বাভাবিক বিষয় এবং ৫ হাজারের বেশি মানুষকে এ বছর আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৩৫০ জনকে পিএসএ’র অধীনে আটক করা হয়েছে।
কাশ্মিরে আটককৃতদের মধ্যে আছেন সাবেক তিনজন মুখ্যমন্ত্রী, সাবেক আইনপ্রণেতা, অধিকার কর্মী, বিচ্ছিন্নতাবাদী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং এমনকি আট বছর বয়সী শিশুরাও।
বন্দী করার প্রক্রিয়ার সাথে সাথে ছিল পুরো অবরুদ্ধ পরিস্থিতি। এ অঞ্চলে এত দীর্ঘ সময় ধরে আর কখনও অবরুদ্ধ রাখা হয়নি। আর সেই সাথে ইন্টারনেট ও টেলিফোনসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।
