স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান আছে, সেটাও নিশ্চয়ই কন্যাসন্তানের ভ্রূণ। এমনই ধারণা থেকে অন্তঃসত্ত্বা ২৭ বছরের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করে ছুরি, মেশিন দিয়ে কেটে পুড়িয়ে দিল স্বামী। মাকে নৃশংসভাবে হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলে খুনি বাবাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিল বড় মেয়ে। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলির এমন নারকীয় হত্যাকাণ্ড চমকে দিয়েছে গোটা দেশকে।
সংবাদ প্রতিদিন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রবীন্দ্র কুমারের সঙ্গে ২০১১ সালে বিয়ে হয় ঊর্মিলা নামে ওই মহিলার। দম্পতির সাত ও এগারো বছরের দু’টি কন্যাসন্তান রয়েছে। সম্প্রতি আবারও অন্তঃসত্ত্বা হন ঊর্মিলা। প্রথম থেকেই রবীন্দ্র সন্দেহ করত, তৃতীয় সন্তানও মেয়েই হবে। এই সন্দেহের বশেই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সে স্ত্রীকে খুন করে। ঊর্মিলার পরিবারের লোকের যাতে সন্দেহ না হয়, তার জন্য নিজেই পুলিশকে ফোন করে জানায় স্ত্রী ঊর্মিলা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাকে খুনের কথা এবং দেহাংশ পুড়িয়ে ফেলে তার ভস্ম বাবা যে বাড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরে ফেলে এসেছে সে কথা মামারবাড়িতে পরিজনদের কাছে বলে দেয় রবীন্দ্রর বড় মেয়ে।
এরপরই ঊর্মিলার পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ রবীন্দ্রকে জেরা করে এবং ভস্মীভূত দেহাংশ উদ্ধার করে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য লখনউতে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠায়। সব রিপোর্টেই প্রমাণ মেলে, ঊর্মিলাকে কতটা নৃশংসভাবে খুন করেছে রবীন্দ্র। মাকে হত্যার সময় বাবাকে যে তার দাদু করমচন্দ্র ও দুই কাকু সঞ্জীব ও ব্রিজেশ সাহায্য করে তা পুলিশকে জানায় বড় মেয়েটি।