দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে আবার পতন হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এ পতন হয়। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট রয়েছে। এ জন্য বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। তারা বলছেন, শেয়ারবাজারের তারল্য সংকট সমাধানে ঋণ সহায়তার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বর্তমান অবস্থায় শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কিছুটা তারল্য সরবরাহ করা প্রয়োজন। এ জন্য একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের কথা বলা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল দিনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৫৫টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দাম। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়া সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
সূত্রঃ আমাদের সময়