সরকারি যেকোন মিটিংয়ে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালেন ভারতের ঐতিহ্যবাহী ইলমি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম। তিনি বলেছেন, এখন থেকে তিনি সরকারি কোন মিটিং এ অংশগ্রহণ করবেন না।
গত শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দারুল উলুম দেওবন্দের মেহমান খানায় দেওবন্দের মজলিসে শূরার পক্ষ থেকে ডাকা এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি।
ইউএনএ উর্দু নিউজ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দারুল উলুম দেওবন্দের মেহমান খানায় দেওবন্দের মজলিসে শূরার পক্ষ থেকে ডাকা এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। দেওবন্দের মুহাদ্দিস মাওলানা আরশাদ মাদানী, মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী, নায়েবে মুহতামিম আব্দুল খালেক মাদারাজীসহ আরো অন্যান্য উস্তাদ তাতে অংশগ্রহণ করেন।
মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় ভবিষ্যতে সরকারী কর্মকর্তাদের ডাকা কোন মিটিং এ দেওবন্দ মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমান কাসেমীকে আমন্ত্রণ করা হলে তিনি তাতে অংশগ্রহণ করবেন না।
এছাড়া আরো জানানো হয়েছে, এখন থেকে সরকারি কোন মিটিং-এ অংশ গ্রহণের প্রয়োজন হলেও মুহতামিমের পরিবর্তে তার সমমানের কেউ তাতে অংশ গ্রহণ করবেন।
জানা যায়, ইতোপূর্বে সরকারী কর্মকর্তাদের মিটিং-এ দেওবন্দ মুহতামিমের অংশগ্রহণকে ঘিরে জন-সাধারণের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দেওবন্দ সরকারী কোন প্রতিষ্ঠান না হয়েও দেওবন্দ মুহতামিম সেই মিটিং এ অংশগ্রহণ করায় জন সাধারণের পাশাপাশি ছাত্রদের সাঝে এব্যাপারে ক্ষোভ দেখা গেছে।
জনসাধারনের আবেগকে মূল্যায়ন করে মজলিসে শূরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে সরকার ও মজলিসে শূরার মধ্যকার কোন মিটিং এ দেওবন্দ মুহতামিম অংশগ্রহণ করবেন না।
উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে সরকারি একটি গেস্ট হাউজে মজলিসে শূরার মিটিং এ মাওলানা আবুল কাসেম নোমানীর বক্তব্যকে ঘিরে ভুল বোঝাবোঝির তৈরি হয়েছিল। দেওবন্দ মুহতামিম কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সে বক্তব্যের ব্যাখা দিয়েছেন। সাথে সাথে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র ও জনগণের বিক্ষোভকে দেওবন্দের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নিজের দেওয়া তাৎক্ষণিক এ ব্যাখ্যায় দেওবন্দ মুহতামিম আবারো দেশবাসীর ভালবাসা অর্জন করেছেন।