সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কয়েক ডজন শিশু স্পঞ্জ-টিপুন বুলেটে আহত হয়েছে। যাদের অনেকেই চোখ হারিয়ে আজ অন্ধ।
ইস্রায়েলি দখলদার বাহিনী এ চলতি মাসের ১ম সপ্তাহে দুটি পৃথক ঘটনায় পূর্ব জেরুজালেমের দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে স্পঞ্জযুক্ত টিপুন বুলেটে আক্রান্ত করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে মিডলইস্ট মনিটর।
উভয় ঘটনা ফিলিস্তিনের ইসাওয়াইয়ায় ঘটেছিল।প্রায় এক বছর ধরে এ এলাকাটি বিশ্ব সন্ত্রাসী ইস্রায়েলি দখলদার বাহিনী দ্বারা অবর্ননীয় নির্যাতন ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
সংবাদকর্মীদের মতে,১৬ বছর বয়সী মুহাম্মদ আতীয়া সোমবার তার স্কুল মাঠে গুলিবিদ্ধ হয়।
অন্য দিকে ১০বছর বয়সী ফাওজি আবিদ মঙ্গলবার তার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়ানোর সময় গুলিবিদ্ধ হলে তার হাত মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ফাওজি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফিলিস্তিনি শিশু মুহাম্মদ আতীয়াকে তার স্কুলের মাঠে দাঁড়ানো অবস্তায় ইস্রায়েলি দখলদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে।
আতীয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে যে, সন্ত্রাসী ইহুদি পুলিশ গাড়ি থেকে নামছে এবং স্কুলের প্রবেশ পথে শিক্ষার্থীদের কাছে খাবার বিক্রয়কারী এক ব্যাক্তিকে ধাক্কা মারে।
তারপর কর্মরত একজন সন্ত্রাসী বিদ্যালয়ের প্রবেশ গেইটের ফাক দিয়ে স্কুলের মাঠে শিশুদের উপর পাঁচটি গুলি ছুড়তে দেখা যায়।”
আতীয়ার বাবা আওয়ানী আতীয়া বলেন, আতীয়া স্কুল মাঠেই তার শিক্ষকের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। অকস্মাৎ তারা তাকে গুলি করে।
দখলদার সন্ত্রাসী পুলিশ দাবি করেছে যে,সে পাশের পুলিশের গাড়িতে পাথর ছুঁড়ে মেরেছিল।
মিডলইস্ট মনিটরে দেওয়া হিসাবে মতে, ইসাওয়াইয়ায় প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী অভিযান, টহল দেওয়া, গ্রেপ্তার করা এবং চেকপয়েন্ট স্থাপন করা এবং হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, “স্পঞ্জের সাহায্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে কয়েক ডজন শিশু আহত হয়েছে।যার মধ্যে অনেকেই চোখ হারিয়েছে।অন্যরা মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে।মাথায় গুলিকরে আরও এক কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে।
এখন অবধি কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে স্পঞ্জযুক্ত বুলেট ব্যবহারের কারণে বিচারের আয়তায় আনা হয়নি ।