মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৪২ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ (৯.৬৪ বিলিয়ন) ডলার। অথচ এক মাস আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮২২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৪২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। খবর- অর্থসূচক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আমদানি কমায় অর্থবছরের তিন মাস পর্যন্ত পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি আগের অর্থবছরের চেয়ে কম ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ঘাটতি ছিল ৩৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ছিল তার থেকে কম ৩৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
তবে রপ্তানি আয়ে ধসের কারণে এর পর থেকেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে; এমনকি আমদানি ব্যয় কমার পরও বাড়ছে এই ঘাটতি।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) মোট তিন হাজার ২০০ কোটি ২০ লাখ (৩২ বিলিয়ন) ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। আর পণ্য রপ্তানি থেকে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) আয় করেছে দুই হাজার ২৩৫ কোটি ৯০ লাখ (২২.৩৬ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবেই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
তথ্যে দেখা যায়, এই সাত মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৪৯ কোটি ৪০ লাখ (১৫.৪৯ বিলিয়ন) ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল আরও বেশি ১৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোতে আমদানি খাতে ব্যয় বাড়ার কারণে রপ্তানি আয় বাড়লেও বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু এবার আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয় কমায় বাড়ছে এই ঘাটতি।
এদিকে, সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। জুলাই-জানুয়ারির সময়ে এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২১৯ কোটি ১০ লাখ (২.১৯ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
মূলত বিমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫১ কোটি ৬০ লাখ (১.৫১ বিলিয়ন) ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪০৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এই ঘাটতি ছিল ৬৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অথচ অগাস্ট মাস শেষেও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল