ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হয়েছেন দেশটির সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি মালাউন রঞ্জন গগৈ। সোমবার (১৬ মার্চ) তাকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ। সাধারণত শিল্পী ও তারকারা এই পদে মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। তবে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ না দিয়েও রঞ্জন গগৈ-এর এই মনোনয়নকে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়েছে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি।
দুই কক্ষ বিশিষ্ট ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। বর্তমানে সেখানে সর্বোচ্চ ২৪৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২৩৩টি আসনের সদস্যরা রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আইনপ্রণেতাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আর সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে বাকি ১২ জনকে ছয় বছর মেয়াদের জন্য মনোনীত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজ সেবায় অবদানের ভিত্তিতে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়।
প্রায় ১৩ মাস ভারতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে গত বছরের নভেম্বরে অবসরে যান রঞ্জন গগৈ। দায়িত্ব পালনের সময় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন তিনি।
অযোধ্যার বিতর্কিত রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিল এই বিচারপতি মালাউন রঞ্জন গগৈ। রাফায়েল জেট ক্রয় দুর্নীতি মামলায় মালাউন সরকারকে অব্যাহতি দেওয়া বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি। যৌন হয়রানির অভিযোগও ছিলো তার বিরুদ্ধে। আদালতের এক কর্মী ওই অভিযোগ আনলেও তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্ট প্যানেল।
ভারতের অনেকেই মনে করেন বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈ-এর দেওয়া অনেক রায়ই ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির পক্ষে গেছে। এবার তাকেই রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করলেন বিজেপি সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়া রাম নাথ কোবিন্দ। সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে জানানো হয়, মেয়াদ পূর্তির কারণে রাজ্যসভায় শূন্য হওয়া একটি আসনে রঞ্জন গগৈকে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি। আইনজীবী কেটিএস তুলসির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওই আসনটি শূন্য হয়।