সড়কের পাশে আবর্জনার ভাগাড়, দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগ

0
849

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হুকুম আলী-সোনামুখী বাইপাস সড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভরণশাহী এলাকার বাইপাস সড়কটি যেন আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পথচারীসহ এলাকার মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে ধুনট পৌরসভা। আয়তন ৫.৯২ বর্গ কিলোমিটার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাজারো নাগরিক সমস্যার মধ্যে বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। পৌর এলাকায় দৈনিক প্রায় ৩ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। কিন্ত এই বর্জ্য ফেলার জন্য পৌর এলাকায় নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিনের অভাব রয়েছে। খবরঃ কালের কন্ঠের

ফলে যত্রতত্রভাবে ফেলা হচ্ছে পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা। এই ময়লা-আবর্জনার বড় অংশটি ফেলার জন্য বাইপাস সড়কের পাশ বেছে নিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। সড়কের পাশে তো ফেলা হচ্ছেই। কোথাও আবার সড়কের পিচের উপর পর্যন্ত আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। দিন যত যাচ্ছে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ততই বড় হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে সড়কের পাশে গড়ে উঠা ময়লার ভাগাড়ের কারণে পথচারীদের নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ সময় পথচারীদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে উৎকট গন্ধে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। এছাড়া সড়কের পাশে আগুন লাগিয়ে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলায় মরার উপক্রম হয়েছে সড়কের পাশের গাছগুলোর।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব ময়লা-আবর্জনার অধিকাংশই পচনশীল পদার্থ। কাঁচা বাজারের শাকসবজি, হোটেলের বাসি-পচা খাবার এবং বাসাবাড়ির ময়লার প্রায় ৮০ শতাংশ পচনশীল। ফলে এগুলো ফেলার অল্প সময়ের মধ্যেই পচে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও ময়লার ভাগাড় পলিথিনে সয়লাব। পচনশীল পদার্থ নষ্ট হয়ে গেলেও পলিথিনগুলো থেকে যাচ্ছে অক্ষত। এসব পলিথিন বৃষ্টির পানিতে ভেসে আশপাশের ফসলি জমিতে পড়ে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইবনে সউদ বলেন, সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা আবর্জনা ও মরা মুরগির বিষ্ঠার গন্ধে চলাচল করতে কষ্ট হয়। নাক-মুখ চেপে শ্বাস বন্ধ করে এই সড়কে হাঁটতে হয়। আমরা এ দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা পরিবেশ সংরক্ষণ আইনবিরোধী কাজ। পৌরবাসীর সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলার সব কাজ করা উচিত।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারো গণধর্ষণ, কি হচ্ছে দেশে?
পরবর্তী নিবন্ধ‘আমার মতো কেউ যেন গোমূত্র পান না করে’