বরগুনার আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) কক্ষ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শানু হাওলাদার নামের ওই যুবককে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আটক করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রির কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শানু হাওলাদার আমতলী উপজেলার পশ্চিম কলাগাছিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
শানুর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে হত্যার পর তার লাশ ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও ডিউটি অফিসার এএসআই মো. আরিফুর রহমান ঝুলিয়ে রাখেন।
বরগুনার আমতলী থানা পুলিশের ওসির (তদন্ত) কক্ষ থেকে মোহাম্মদ শানু হাওলাদার নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ খুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সারাজীবন শুনে আসছি মৃত্যুর ভয় নাকি অমানুষকেও কিছু সময়ের জন্য মানুষ করে দেয়। কিন্তু আমার কাছে আজ মনে হয়েছে যে বরগুনার আমতলী থানার ঘটনা যেখানে শানু হাওলাদার নামের একজনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। আমি তার ঝুলন্ত লাশ দেখলাম ফেসবুকে।
এই আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশের কিছু সদস্য আছে, তারা কি মৃত্যুর ভয়ের মুখোমুখি হয়েও কি মানুষ হবে না? এই যে বরগুনা থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, শানু হাওলাদারের ফ্যামিলির কাছে তিন লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবার টাকা দিতে পারেনি। মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েছে এ জন্য আপনারা পিটিয়ে মেরে ফেলছেন। আমার কাছে লজ্জা লাগে। আমার কাছে মাঝেমধ্যে মনে হয়, এসব মানুষের কারণে করোনা আমাদের কাউকে মাফ করবে না। আবার এটাও মনে হয়, যারা এসব অপরাধ করে তাদের যদি করোনা নিয়েও যায় সঙ্গে যদি আমাকেও নেয় আমিও চলে যেতে চাই। তাও যদি বাংলাদেশটা মুক্তি পায়।’
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, নেতাদের কন্ট্রিবিউশন ছাড়া একজন ওসি এত শক্তি পায় না। আমার বিশ্বাস বরগুনার নেতাদের যারা আপনাদেরও এখানে কন্ট্রিবিউশন আছে। আপনারা কোনো না কোনোভাবে এ ওসির কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। আমি আমার এলাকাতেও গিয়ে দেখেছি, রাজনৈতিক নেতাদের যদি ছত্রচ্ছায়া না থাকে তাহলে একজন ওসি এতটা সাহস পায় না।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আপনি হত্যা, নির্যাতন বাদ দেন একটা মানুষ ওসির রুমে আত্মহত্যা করার সুযোগ কেমনে পায়। আপনি ওসি সামান্য কয়টা টাকার জন্য এই কাজটা করলেন। পুরো বাংলাদেশকে বেচে দেয়ার জন্য আপনার এক মিনিটের ব্যাপারও না।’