ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো(পিসিবিএস) নিশ্চিত করেছে যে,ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের মোট ভূমির প্রায় ৮০-শতাংশ জায়গা বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল দখলকরে নিয়েছে। অবৈধ রাষ্ট্রের কঠোর বিধিনিষেধের মাঝে ফিলিস্তিনিরা মাত্র ১৫-শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩০ মার্চ ফিলিস্তিনের ভূমি দিবস উপলক্ষে পিসিবিএস একটি প্রতিবেদনে এই বিবরণী প্রকাশ করেছেন। এতে উল্লেখ করেছে যে,বিদেশ থেকে আগত ইহুদি অভিবাসীরা এখন অবৈধ রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।
সূত্র – মিডলইস্ট মনিটর।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ সেখানে ১ কোটি ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি ছিল। এর মধ্যে ৫০ লাখ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বাস করছে। ১৯৪৮ সালের পর থেকে দখলকৃত অঞ্চলগুলিতে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের নাগরিক হিসেবে বসবাস করছে। আর সমগ্র আরব ও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষ অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করার জন্য ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অসলো বিভাগকে এ, বি এবং সি অঞ্চলে ব্যবহার করেছে। দখলকৃত জমির ৭৬ শতাংশ আয়তনের সি অঞ্চলটি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করছে।
পিসিবিএস উল্লেখ করে যে সন্ত্রাসী ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ২৫১টি আবাসিক ভবন সহ দখলকৃত পশ্চিম তীরে ৬৭৮টি সুযোগ-সুবিধা ধ্বংস করেছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের শহর ও গ্রামগুলির প্রবেশপথে ৬০০ সামরিক চৌকি এবং ব্যারিকেড স্থাপন করেছে ফলে শহর ও গ্রামগুলি দখলকৃত পশ্চিম তীরের মতো হয়ে যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত পশ্চিম তীরে নির্দিষ্ট কিছু রাস্তা ছাড়া অন্যান্য রাস্তা ব্যবহার করতে বাধা দিচ্ছে যাতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিনামূল্যে রাস্তা ব্যবহার করতে পারে যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। হেব্রনের সাতটি রাস্তা কেবল ইহুদিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ অথচ এই রাস্তাগুলো শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের ছিল।