আইইডিসিআরের দেয়া তথ্যমতে, ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ১২ জন। মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে এশিয়ার অন্যদেশগুলো থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। আসুন পরিসংখ্যান দেখি।
দেশ মৃত্যুর হার
পাকিস্তান – ১.৫%
ভারত – ২.৬%
ইন্দোনেশিয়া – ৮.৪%
বাংলাদেশ – ৯.৮%
এছাড়া শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপালে এখন পর্যন্ত কোনো এ রোগে কোনো মৃত্যুই নেই।
এবার বিশ্বের অন্য কিছু দেশের অবস্থা দেখি চলুন।
দেশ মৃত্যুর হার
যুক্তরাষ্ট্র – ২.৯%
বেলজিয়াম – ৭.৮%
ফ্রান্স – ৮.৭%
স্পেন – ৯.৭%
যুক্তরাজ্য – ১০.৩%
ইতালি – ১২.৩%
তাহলে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ওপরে আছে যুক্তরাজ্য আর ইতালি। মাত্র ১২৩ জন আক্রান্ত রোগী নিয়েই বাংলাদেশ মৃত্যুর হারে এ দেশ দু’টির কাছাকাছি অবস্থান করছে। যদি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়ে, তখন মৃত্যুর সংখ্যা এবং এর হার কতটাই না বাড়বে, তা সহজেই অনুমেয়।
এদিকে ওয়াল্ডোমিটার্সের দেয়া তথ্যমতে মোট জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার হারে সবচেয়ে খারাপ দেশের তালিকায়ও নাম এসেছে বাংলাদেশের। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। সেখানে প্রতি ১০ লাখে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ১৬ জনের। এর পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এ দেশে প্রতি ১০ লাখে পরীক্ষা করা হচ্ছে মাত্র ১৮ জনের। নাইজেরিয়ায় ১৯ জন, ভারতে ১০২ জন, মালয়েশিয়ায় ১৬০৫ জন, ফ্রান্সে ৩৪৩৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩৬১ জন, স্পেনে ৭৫৯৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৯৯৬ জন, জার্মানিতে ১০৯৬২ জন, ইতালিতে ১১৪৩৬ জন। *
এরপরেও ওবায়দুল কাদেরের মত কিছু নাদান বলবে, “আমরা করোনার চেয়ে বেশি শক্তিশালী।” প্রায় আড়াই মাস সময় পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু এ আড়াই মাসে কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। বিশ্ব যখন করোনায় পর্যুদস্ত, এ দেশের তাগুত সরকার তখন মুজিবপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। এ খাতে ব্যয় করেছে কোটি কোটি টাকা। এ আড়াই মাসে পরীক্ষা ছাড়া অথবা নামমাত্র পরীক্ষা করেই দেশে ঢুকতে দেয়া হয়েছে হাজার হাজার প্রবাসীকে। জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির তেমন কোনো পদক্ষেপই নেয়নি এ আড়াই মাসে। ১৭ই মার্চের আগে তো আমরা কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন শব্দগুলো শুনিইনি। যখন পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে গেছে, তখন থেকেই কেবল লোকদেখানো কিছু পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে এ তাগুত সরকার। মূলত জনজীবনের বিন্দুমাত্র দাম ওদের কাছে নেই। ওরা ওদের পকেট নিয়ে ব্যস্ত, ওরা ব্যস্ত ওদের মুজিব বাবাকে নিয়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে করোনা এবং এ জালিম সরকার থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
লেখক: আবদুল্লাহ আবু উসামা, ইসলামী চিন্তাবিদ।
Allah amdr rokha koro malik