বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিওএইচও) অর্থায়ন সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটির অন্যতম বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক প্রেস কনফারেন্সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রুসেডার ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ডব্লিওএইচও’র প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অর্থায়ন বন্ধের ব্যাপারে তার প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগ, মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি মহামারির প্রথম থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের পক্ষে কাজ করেছে।
প্রেস কনফারেন্সে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ‘চীনে এই ভাইরাসটির উৎপত্তির পর এর মোকাবিলায় তার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীনের দেওয়া তথ্যের ওপরেই বিশ্বাস করেছে তারা। এর অর্থায়ন বন্ধের জন্য আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি এবং এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে।’
জাতিসংঘের এই অঙ্গ-সংস্থাটির মোট বাজেটের ১৫ শতাংশই দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর সংস্থাটিকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করে বিশ্বের সবচেয়ে কথিত ক্ষমতাধর এই দেশটি।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের এই ঘোষণায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ডব্লিওএইচও। তবে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটিকে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একে ‘দুর্যোগের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ইউনিভার্সিটির মেডিকেল ডিরেক্টর ও ইনফেকশাস ডিজিজেস স্পেশালিস্ট নাহিদ ভাদেলিয়া।
কয়েক দিন আগেই সংস্থাটিতে অর্থায়ন বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশেষে তার সেই হুমকিকে বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চীনের সরকারি তথ্য বলছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট ৮২ হাজার ১৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩ হাজার ৩৪১ জন।