ভারতে মুসলিম বিদ্বেষী চিত্র হরহামেশাই দেখা যায়। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশটিতে বহু হত্যাকাণ্ড, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালেও সাম্প্রদায়িক বর্বরতা চালানোর চেষ্টা করছে উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদী মহল।
ভারতের চেন্নাইয়ে মুসলিম বিদ্বেষের একটি ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ‘দোকানে কোনো মুসলিম কর্মচারী নেই’ বিজ্ঞাপন টাঙিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বেকারি মালিক।
চেন্নাইয়ের টি নগরের মহালক্ষ্মী স্ট্রিটে অবস্থিত ‘জৈন বেকার্স অ্যান্ড কনফেকশনারিজ’ নামে একটি বেকারিতে এ ঘটনা ঘটেছে। দোকানের সামনে ‘জৈনকর্মীরা খাবার তৈরি করেন। দোকানে কোনও মুসলিম কর্মী নেই’ লিখে একটি হোর্ডিং মালিক। সামাজিকমাধ্যমগুলোতে এই বিজ্ঞাপনের ছবি প্রকাশ হতেই ভাইরাল হয়ে যায়।
খবর: আমাদের সময়
চেন্নাইয়ের ওই বেকারির কর্মীরা জানিয়েছেন, কোনো সম্প্রদায়ের মানুষকে আঘাত করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। বেকারিতে মুসলিম কর্মী থাকলে সেখানকার পণ্য বেচা-কেনা চলবে না এমন একটি মেসেজ ছড়ায় বার্তা মাধ্যম হোয়্যাটসঅ্যাপে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোনও আসে। অনেকেই জানতে চান দোকানে কোনো মুসলিম কর্মী আছে কি না। এ সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে দোকানের মালিক ওই বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
“যৌনকর্মীরা খাবার তৈরি করেন। দোকানে কোনও মুসলিম কর্মী নেই” —কথাটা সম্ভবত এরকম হবেঃ “জৈনরা / জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ খাবার তৈরী করেন। …”
জাযাকাল্লাহ খাইরান।