দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই জন ডিলার চাল বিতরণ না করে আত্মসাত করেছে।
এদের মধ্যে একজন পলাশবাড়ী ইউনিয়ন সন্ত্রাসী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুর অন্যজন ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রহিমুল ইসলাম। তারা দুই জনেই পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরন না করে তা ২ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ডিলার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুর ২ নং ওয়ার্ডের ডিলার মো. ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রহিমুল ইসলাম আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
গত মঙ্গলবার ডিলার মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুরের বিরুদ্ধে মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. পারুল বেগম বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বৈরবাড়ী গ্রামের বিরেন অধিকারীর ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ অধিকারী, ধূখোল মহন্ত ছেলে ফাগুনা মহন্ত, মৃত সচিন্দ্রের ছেলে রমেশ ও মহিলা ইউপি সদস্য পারুল বেগমের চাল না দিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে আত্মসাৎ করে আসছেন ডিলার মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুর।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলমকে ঘটনা পরিদর্শনে পাঠান। এ সময় তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিযোগকারীদের অভিযোগ শুনেন। পরে ডিলার মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুরকে ডাকলে তিনি পালিয়ে যান। একই অভিযোগ ২ নং ওয়ার্ডের ডিলার মো. ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রহিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে বিমল চন্দ্র সরকার, যতিশ চন্দ্র,জগদিস সরকার ও লাল বানু নামে চারজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের নামে কার্ড আছে কিন্তু তারা কোন দিনই চাল পাননি। তাদের চার গুলো ডিলার আত্মসাৎ করত। যেসব কার্ডের চাল আত্মসাৎ করা হতো তার মধ্যে কিছু কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। কার্ডধারীরা জানতইনা যে তাদের নামে কার্ড রয়েছে এবং চাল উত্তোলন করা হয়ে । খবর: কালের কন্ঠ
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুইজন ডিলার নাজমুল হোসেন বাহাদুর ও রহিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১০-১২জন উপকারভোগী অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা জানেনা তাদের নামে কার্ড বরাদ্দ আছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। যেই কার্ড দিয়ে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। আমি নিজেই বুধবার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। দুইজন ডিলারকে ডাক দেয়া হলে তারা মুঠোফোন বন্ধ করে পালিয়েছে।
এই ঘটনায় বুধবার রাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: ফিরোজ আহম্মদ মোস্তফা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।