‘মহাদুর্যোগের মধ্যেও গরিব, অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হলে তাহলে তারা কোথায় যাবে?’ আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহের পাইথোলিন ইউনিয়নে এক আলোচনা সভায় এক নাগরিক এমন মন্তব্য করেন।
এই নাগরিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ লোককে ১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা দেবেন। আমরা এখন খবর দেখছি সরকারের লোকেরা প্রতি জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা রেখে দুই হাজার টাকা দিচ্ছে। আবার যারা তালিকা করছেন তাদের নিজস্ব লোক আত্মীয়-স্বজনদের নাম তালিকায় দিচ্ছেন। গরিব মানুষের নাম তালিকায় থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘তালিকা এমনভাবে করে যেন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নামও আছে কিন্তু কর্মচারীর নাম নেই। এটা কোনো কাজ হতে পারে? তাহলে কোন পরিস্থিতি বিরাজ করছে একবার চিন্তা করুন? এটা তো জনগণের টাকা। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের টাকা নয়। মহাদুর্যোগের মধ্যেও গরিব অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হলে তাহলে তারা কোথায় যাবে? তারা তো না খেয়ে মারা পড়বে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা দিন আনে দিন খায়, গরিব, অসহায় মানুষ, কর্মহীন মানুষ অনেক কষ্টে আছেন। অথচ জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ চেয়ারম্যান মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা চুরি করছে। আত্মসাৎ করছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার! মানুষ মরছে, হাহাকার করছে কাজে যেতে পারছে না আর সরকারের লোকেরা ত্রাণ চুরি করছে।’
বাংলাদেশসহ ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে দুর্যোগ চলছে। চীনে জানুয়ারি মাসে করোনা মহামারি শুরু হয়। তখন থেকে আমাদের দেশে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ সরকার সে পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যান্য অনেক দেশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা ভালো আছে। আর বাংলাদেশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন লোক মারা যাচ্ছে। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
সূত্র: আমাদের সময়