কাশ্মীর ও হিন্দের মুসলিম ভাইদের প্রতি আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ এর নয়া বার্তা। ‘তোমরা আল্লাহর রাহে জিহাদ করো যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ’

    0
    2093
    কাশ্মীর ও হিন্দের মুসলিম ভাইদের প্রতি আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ এর নয়া বার্তা। ‘তোমরা আল্লাহর রাহে জিহাদ করো যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ’

    بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ

    পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

    আল-কায়েদা কাশ্মীর ভিত্তিক শাখা আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের সম্মানিত মুখপাত্র তালহা আব্দুর রহমান (হাফিজাহুল্লাহ্) কাশ্মীর ও হিন্দের মুসলিম ভাইদের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ ১৭ মিনিটের একটি নতুন বার্তা প্রদান করেছেন। ‘তোমরা আল্লাহর রাহে জিহাদ করো যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ’ শিরোনামে বার্তাটি প্রকাশ করেছে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের অফিসিয়াল আল-হুর মিডিয়া।

    সমস্ত প্রসংশা আল্লাহ্ তা’আলার জন্য, রহমত এবং শান্তি বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ সা. এর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবাদের উপর।

    আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনুল মাজিদে এরশাদ করেন:

    وَجَاهِدُوا فِي اللَّـهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ ۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ ۚ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَـٰذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ۚ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّـهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ ۖ فَنِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ ﴿٧٨

    তোমরা আল্লাহর রাহে জিহাদ করো যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ; তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো। তিনিই তো তোমাদের নাম মুসলিম রেখেছেন; পূর্বেও এবং এই কুরআনেও। যাতে রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা আর তোমরাও মানবজাতির জন্য সাক্ষ্যদাতা হও। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। আর তিনি কতোইনা উত্তম অভিভাবক এবং সাহায্যকারী। (সুরা হাজ্জ: আয়াত-৭৮)

    আমার প্রিয় মুজাহিদিন, কাশ্মীর ও ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসরত মুসলিম ভাইগণ, আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্।

    রাত্রি যতোই গাঢ় হোক, প্রভাতে আলোফুঁড়ে অরুণরাগ প্রস্ফূটিত হবেই। নামবে এমন এক ভোর, যা মুছে দেবে সমস্ত নিপীড়ন, নিশীথিনীর অন্ধকার; দূর করবে মানুষের রচিত আইন, বন্ধ করবে জালিমদের আস্ফালন। যদিও ভোর নামার অপেক্ষার সেই সময়টা দীর্ঘ, জুলমে জীবন দুর্বিষহ, তা সত্ত্বেও এ পথ আমাদেরকে মাড়িয়ে যেতে হবে। গহীন অরণ্যটুকু পাড়ি দিলেই নদীবেষ্টিত সবুজ-সোনালী ফসলের ক্ষেত। এ তো ক্ষণিকের পরীক্ষামাত্র। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই অপেক্ষা করছে রবের প্রতিশ্রুত জান্নাত অথবা বিজয়ের সম্মান। এ তো মহান আল্লাহ তা’আলার রহমত যে নানাবিধ চক্রান্ত আর মিথ্যা প্রোপাগান্ডা সত্ত্বেও এই কাফেলা থেমে থাকেনি। আনসার গাজয়াতুল হিন্দের মুজাহিদিন আজও এই ভূমিকে তাদের তপ্তলাল রক্ত দিয়ে সিঞ্চিত করছেন; উর্বর করে তুলছেন ফেটে চৌচির হওয়া ভূমি।

    এই শুভ সময়ে আমি সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বিশেষকরে কাশ্মীরের সম্মানিত মুসলিম ভাই-বোনদের আরো একটি সুসংবাদ দিতে চাই। বরকত ও মাগফিরাত, বিজয় ও কবুলিয়্যাতের মাস রামাদানে আমাদের তিনজন মুজাহিদ ভাই মহান রবের দরবারে পোঁছে গেছেন। আনসার গাজয়াতুল হিন্দের ডেপুটি আমির বুরহান মাজিদ, তাঁর দুই সাথী বিলাল আহমেদ খান এবং নাসির আহমদ ভাট চলমান লড়াইয়ে শাহাদাহ বরণ করেছেন।

    শহিদদের ভূমি শোপিয়ানে রামাদানের তৃতীয় রাতে এই সত্যবাদী মুজাহিদিনরা কয়েক হাজার হিন্দু মুশরিক সৈন্যের বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেছেন।

    এছাড়াও গতো আট মাসে আমাদের এই পবিত্র কাফেলার আরো অনেক মুজাহিদ ভাই তাঁদের প্রতিশ্রুতি -আমরা আমাদের রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো- পূর্ণ করেছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের দ্বিতীয় আমির আব্দুল হামিদ লোন এবং তাঁর দুই সাথী নাভেদ আহমেদ তাক এবং জুনাইদ আহমদ ভাট। এছাড়াও উবাইদ লোন, মোহাম্মাদ আব্বাস, জাহাঙ্গীর রফিক ওনি, রাজা ওমর মকবুল, সাদাত ঠোকার, শাবির আহমদ মালিক, আমির আহমদ দার, তারিক আহমদ ভাট, বাসরাত শাহ ,ওয়াকিল আহমদ দার এবং উজির আহমদ ভাট প্রমুখ মুজাহিদ।

    মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা তাঁদের এই আত্মত্যাগ কবুল করুন। জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু কি তাদের প্রতিদান হতে পারে?

    যদিও তাদের এই বিচ্ছেদে আমাদের হৃদয় ব্যথিত; কিন্তু তাদের শাহাদাহ আমাদের সংকল্পকে আরো সুদৃঢ় করেছে। তাঁদের রক্তনদীর প্রবাহ ধরেই আমরা ছুটবো মাঞ্জিলপানে; মুক্ত করবো কাশ্মীর। এই ভূমিতে উড়াবো খিলাফাহর পতাকা। ফিরিয়ে আনবো শরিয়াহর শাসন। আমাদের এই ক্যারাভান কখনোই দিকভ্রষ্ট হবে না। বি-ইযনিল্লাহ্

    আপনাদের কাছে আমি এই শুভ বার্তাটুকুও পৌঁছাতে চাই, আমাদের সম্মানিত আমির গাজী খালিদ ইবরাহিম হাফিজাহুল্লাহর নেতৃত্বে আনসার গাজয়াতুল হিন্দের কাফেলা পূর্বের চেয়ে আরো দূর্বার ও দৃঢ় গতিতে এমনকি সফলতার সাথে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাচ্ছে। আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, আমাদের জিহাদ কেবলমাত্র কোনো সাংগঠনিক লড়াই নয়। আমাদের উদ্দেশ্য জিহাদকে একটি সামগ্রিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। জিহাদের বিরুদ্ধে সবধরনের অপপ্রচারের অবসান আনা। এটি বিজয় এবং সফলতার রুটম্যাপ। এ পথের অপরপ্রান্তেই রয়েছে আজাদি কাশ্মীর; মুক্ত কাশ্মীর। ইসলামি খিলাফাহভুক্ত কাশ্মীর।

    আমি আলোচনার প্রথমে সুরা হাজ্জের শেষ আয়াতটি আপনাদের সামনে পেশ করেছি; যেখানে আল্লাহ তা’আলা সংক্ষেপে বিজয় এবং সফলতার চিত্র অঙ্কন করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলছেন,

    وَجَاهِدُوا فِي اللَّـهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ

    ‘আল্লাহর রাহে জিহাদ কর যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ’

    তাফসির: তোমরা আমার রাহে জিহাদ করো ঠিক সেভাবেই যেভাবে আমি করতে বলেছি অথবা যেভাবে করাটা আমি পছন্দ করি।

    হে আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইগণ, এটা বুঝার চেষ্টা করুন, জিহাদ আল্লাহ তা’আলার হুকুম; জিহাদ কারো ওপর নির্ভরশীল হতে পারেনা, কোনো সংগঠন বা দেশের অনুগামী হতে পারেনা; জিহাদ কখনো মানবরচিত আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। জিহাদ যদি আল্লাহ্ তা’আলার নির্দেশই হয়, তাহলে কোন সাহসে আমরা এর ব্যাখ্যাকে কোনো সংগঠনের স্ট্র্যাটেজি-সাপেক্ষ উপস্থাপন করি, কোনো আলিমের মনমতো ব্যাখ্যা করি? জিহাদ তো মানুষের তৈরি কোনো ‘গৃহপালিত বিধান’ নয়।

    জিহাদ মহান আল্লাহ্ তা’আলা প্রদত্ত দীনের একটি মৌলিক বিধান; যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা’আলা প্রতিটি ইবাদতের জন্য কিছু পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন, রাসুল সা. স্বয়ং এসবের বাস্তবায়ন দেখিয়ে গেছেন, ঠিক তেমনিভাবে জিহাদের জন্যও নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি আছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা কোরআনে জিহাদের পদ্ধতি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিদান বাতলে দিয়েছেন। রাসুলে আরাবি সা. নিজে সেই পদ্ধতির বাস্তবায়ন দেখিয়ে গেছেন। বদর-উহুদ-খন্দকে নিজের রক্ত ঝরিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে আমাদেরকে জিহাদের পদ্ধতি বুঝিয়েছেন; এতদসত্ত্বেও কোন সাহসে আমরা জিহাদের অপব্যাখ্যা করি? জিহাদকে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের অভিপ্রায়ের বলি বানাই?

    অতঃপর তিনি (সুবহানাহু তা’য়ালা) বলছেন,

    هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ ۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ ۚ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَـٰذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ۚ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّـهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ ۖ فَنِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ

    তোমরা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো। তিনিই তো তোমাদের নাম মুসলিম রেখেছেন; পূর্বেও এবং এই কুরআনেও। যাতে রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা আর তোমরাও মানবজাতির জন্য সাক্ষ্যদাতা হও। তোমরা সলাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। আর তিনি কতোইনা উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।

    আয়াতের এই অংশে আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা আমাদেরকে মিল্লাতে ইবরাহিমের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে আদেশ করেছেন; এবং অভিভাবক ও সাহায্যকারী হিসেবে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।

    এখন প্রশ্ন হলো, মিল্লাতে ইবরাহিম কী? মিল্লাতে ইবরাহিম হলো, এক আল্লাহ্ তা’আলার সামনে আত্মসমর্পণ এবং তিনি ব্যতীত সমস্ত তাগুত ও তাগুতের অনুসারীদেরকে প্রত্যাখ্যান করা; তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা; শত্রুতা, বিদ্বেষ ও বিদ্রোহ ঘোষণা করা। এটাই মিল্লাতে ইবরাহিম। সায়্যিদুনা ইবরাহিম আ. মূর্তি ভেঙে ফেলার আহ্বান করেছেন। ইসলামের আবির্ভাবই হয়েছে মূর্তি ও গায়রুল্লাহর অস্তিত্বকে গুড়িয়ে দেয়ার মিশন নিয়ে; সে মূর্তি হোক আজার, লাত বা মান্নতের মতো মাটি বা পাথরের তৈরি, আর হোক সেটা বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থারূপী সংসদ নামক কোনো মূর্তি। কিংবা জাতীয়তাবাদের মতো ঘৃণিত কোনো বিশ্বাসগত মূর্তি।

    মিল্লাতে ইবরাহিমের চেতনা আজ নিভৃতে থেকে প্রশ্ন করে, কার কথায় আপনারা পাকিস্তানকে নিজেদের রব বানিয়ে নিয়েছেন, জিহাদকে তাদের ইচ্ছার বলি বানাচ্ছেন? আপনাদের মিশন তো ছিলো মূর্তি ভাঙার, কিন্তু কী আপনাদেরকে উল্টো মূর্তির পূজারী বানিয়ে দিলো? ঠিক কার কথায় আপনারা জিহাদ ছেড়ে দিলেন? কোন আপ্তবাক্য আপনাদেরকে জিহাদের প্রতি নাখোশ করে তুললো? কীসের লোভে আপনারা মুজাহিদিনদের খামোশ বলে চুপ করে যেতে বলেন?

    জেনে রাখুন, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি কোরআনের বাচন বাদ দিয়ে কোনো তন্ত্র-মন্ত্রের শিখিয়ে দেয়া মুখস্ত বুলি হয়, তবে মহান আল্লাহ্ তা’আলার আযাবের জন্য প্রস্তুত থাকুন।

    আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের প্রতিজন মুজাহিদ নিজেকে উপরের প্রশ্নগুলো করুন। আমার প্রিয় ভাইরা, জিহাদকে গণতন্ত্রের কোনো ধ্বজাধারীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য ‘ব্যবহৃত’ হতে দিবেন না। আমরা কারো স্বার্থরক্ষায় লড়াই করি না। কুফফারদের দালাল কোনো গোয়েন্দাসংস্থার ইশারায় আমাদের স্ট্র্যাটেজির পরিবর্তন হবে না। এটাই সময়ের দাবি।

    হিন্দুস্তানে বসবাসরত আমার মুসলিম ভাইগণ, আপনাদের উপর মুশরিক হিন্দুদের আঘাত আর চোখরাঙানি আমাদেরকেও আহত করে। আপনাদের রক্তপ্রবাহে আমাদের অশ্রু ঝরে। আপনাদের উপর চলমান এই নৃশংসতার বিষয়ে আমরা বেখবর নই। এই লাঞ্ছনা, এই নির্যাতন, এই অসহায়ত্ব আমাদেরই হাতের কামাই নয় কি? আজ প্রায় এক শতাব্দি সময়ধরে ভারতীয় মুশরিকরা আমাদের রক্ত নিয়ে হোলিখেলা করছে। এরপরেও আমাদের ঘুম ভাঙেনি। কথিত ধর্মীয় সম্প্রীতির দোহাই দিয়ে আমরা বারবার ছুটে গিয়েছি ওদের কাছেই। অথচ আল্লাহ্ তা’আলা সুরা হাজ্জের ওই আয়াতে বলেই দিয়েছেন অভিভাবক হিসেবে তিনি কতোইনা উত্তম। আর কতোইনা উত্তম তিনি একজন সাহায্যকারী হিসেবে।

    এই মূর্তিপূজারীরা আপনাদের কখনোই শান্তিতে থাকতে দেবে না; কারণ আপনি মুসলিম। আপনি এক আল্লাহর ইবাদতকারী। গতকাল পর্যন্ত তারা আপনার লুকোনো শত্রু ছিল, তাই আপনি বুঝতে পারেননি, আজ তাদের শত্রুতা প্রকাশিত, কিন্তু এখনো আপনি অসতর্ক। আপনি, আপনার পরিবার এমনকি খোদ আপনার রবের ব্যাপারে তাদের অন্তর বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। ওদের আইন-আদালত, ওদের প্রশাসন, ওদের বাহিনী আপনাকে সুরক্ষা দিবে এমনটা প্রত্যাশা করা ভাবনার আতিশয্য; চিন্তার দীনতা। ওদের শেখানো বুলি ‘ধর্মীয় সম্প্রীতির’ নামে আপনি পূজামণ্ডপে গিয়ে শ্রদ্ধানিবেদন করে ইমান বিসর্জন দিয়েছেন, আর ওরা আপনার বিরুদ্ধে একের এক ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে। এটাই মুশরিকদের চিরায়ত চরিত্র। কুরআনে আল্লাহ্ তা’আলা এ বিষয়ে আমাদেরকে বারবার সতর্ক করেছেন।

    এহেন পরিস্থিতিতে আমরা কাশ্মীরের সকল আহলে ইমানকে আহ্বান জানাই, আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। হিন্দুত্ববাদী সরকার, তার সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং গোয়েন্দাসংস্থা মিলে কাশ্মীরের এই জিহাদি জাগরণ বন্ধ করে দিতে এবং মুজাহিদদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই চেষ্টা সফল করতেই তারা মাসের পর মাস ধরে কারফিউ জারি করে রেখেছে, হলুদ মিডিয়ায় মুজাহিদিনের ব্যাপারে একের পর এক মিথ্যাচার চাউর করছে; শহিদের জানাযায় লোকসমাগম হতে দিচ্ছে না। এসবই প্রমাণ করে মুশরিক কাপুরুষ মোদি এবং তার চেলাচামুণ্ডারা জিহাদকে কতোটা ভয় পায়। মুজাহিদিনের কর্মকাণ্ডে তারা কতোটা তটস্থ।

    ওরা ভেবেছে বন্দুকের নলের মুখে আমাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে পারবে। জীবনের ভয়ে আমরা ইমানের প্রশ্নে আপোষ করবো। না, এই অত্যাচার বরং আমাদের ইমানকে আরো বেশি শাণিত করবে। এ তো মহান আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এই মুহূর্তে প্রয়োজন বেশি বেশি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট দু’আ আর জিহাদি আন্দোলনকে সর্বাত্মকভাবে শক্তিশালী করা; তা আর্থিকভাবে হোক কিংবা মুজাহিদিনকে আশ্রয় দিয়েই হোক। আগত দিনগুলো এরচে’ও বিপদসঙ্কুল হবে। নিজে প্রস্তুতি নিন, পরিবারকে প্রস্তুত করুন। প্রস্তুতি যতো ভালো হবে, কঠিন সময়ে শত্রুদের মোকাবিলা করাটাও ততো সহজ হবে।

    এই বিশেষ সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা ভারতীয় আর্মি এবং পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করা মুসলিম দাবিদার ভাইদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, স্বজাতির বিরুদ্ধে বন্দুক তাক করে আপনারা আপনাদের আখিরাতকে বরবাদ করবেন না। এই বরকতময় জিহাদ আপনাদেরকেও হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আপনাদের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাকে মুজাহিদিনের সহযোগিতায় কাজে লাগান। বন্দুকের নল ওদের দিকেই ঘুরিয়ে দিন। এতে আপনাদের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় জগতের কল্যাণ রয়েছে; বিপরীতে অপেক্ষা করছে নির্মম মৃত্যু।

    আমরা নরেন্দ্র মোদী এবং তার অনুসারী মুশরিক হিন্দুদের বলতে চাই, যতোই চেষ্টা করো না কেন, ইতিহাসের বাঁক তোমরা পরিবর্তন করতে পারবে না। তোমাদের ভাগ্যলিখনী মুছে ফেলতে পারবে না। মুসলিমদের হাতে তোমাদের পরাজয় ও লাঞ্ছনা অবধারিত। এটা মুহাম্মাদে আরাবি সা. এর প্রতিশ্রুতি; এবং এই সত্য তোমারা ভালো করেই জানো। আর আমরও জানি তোমরা ভীতু এক কাপুরুষ জাতি। আমাদের মাত্র তিনজন মুজাহিদের বিরুদ্ধে লড়তে তোমরা হাজার সৈন্যের এক বহর পাঠিয়ে দাও। তোমাদের এই উঁচু উঁচু প্রশাসনিক ভবন, আধুনিকসব অস্ত্র-সস্ত্র তোমাদেরকে বাঁচাতে পারবে না; বিজয় আল্লাহ্ তা’আলার সৈন্যদের জন্যই অবধারিত।

    কাশ্মীর এবং ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসরত আমার মুসলিম ভাইগণ, মনে রাখবেন, জিহাদ ব্যতীত আপনাদের মুক্তির কোনো পথ নেই; আল্লাহ্ ব্যতীত সাহায্য করার মতো আপনাদের কেউ নেই। ‘কে হবে আমার সাহায্যকারী?’ – মহান আল্লাহ্ তা’আলার এই ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর সাহায্যে ধাবিত হোন।

    খোরাসান থেকে ভেসে আসা বিজয় আর সম্মানের সুবাস গ্রহণ করুন। আল্লাহ্ তা’আলা সেই জাতিকে সাহায্য করেন না যারা তার সাহায্যে এগিয়ে আসে না; যারা তার সাথে বিদ্রোহকারীদের বিরুদ্ধে কিতাল করে না।

    পরিশেষে দু’আ করি, হে আমাদের রব, হেদায়াতের পর পুনরায় আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিবেন না; আমাদের উপর আপনার রহমত ঝর্ণাধারার ন্যায় বর্ষণ করুন।


    ডাউনলোড করুন:

    PDF

    https://mega.nz/file/c7Y0ha6D#teebIRzpUa-F6471g97gOejWyEDdeVzo8Pt8Gei81E0

    https://www.mediafire.com/file/cf0edwebd6iclqu/ansar_gazwatul_hind-_new_barta.pdf/file

    https://archive.org/details/ansar-gazwatul-hind-new-barta-2020

    https://archive.org/download/ansar-gazwatul-hind-new-barta-2020/ansar%20gazwatul%20hind-%20new%20barta.pdf

    http://s000.tinyupload.com/index.php?file_id=71610247369568271928

    https://file.fm/u/6g4chwp6

    Docx

    https://mega.nz/file/9rAQXQqA#ODRYowFwOip4FDbXY70oB9eV3APnTSNyjreHRnh9K-8

    https://www.mediafire.com/file/m4513gawxgfbj3w/ansar_gazwatul_hind-_new_barta.docx/file

    https://archive.org/details/ansar-gazwatul-hind-new-barta-2020_202005

    https://archive.org/download/ansar-gazwatul-hind-new-barta-2020_202005/ansar-gazwatul-hind-new-barta-2020_202005_archive.torrent

    http://s000.tinyupload.com/index.php?file_id=09277101622576382076

    https://file.fm/u/qbn47h7k

    মন্তব্য করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস সাপ্তাহিকী || সংখ্যা : ২১ || মে ৪র্থ সপ্তাহ, ২০২০ঈসায়ী
    পরবর্তী নিবন্ধআল-আকসা মসজিদের প্রধান ইমামকে গ্রেফতার করল সন্ত্রাসী ইসরাইল