যশোরের চৌগাছা থানার এসআই হাসানুজ্জামানসহ দুজন তিন কেজি গাঁজাসহ কেশবপুর ধরা খেয়েছে। গত সোমবার দুপুরে তাদেরকে কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া নবাবপাড়া এলাকা থেকে ধরা হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
অপর আটকের নাম নাজমুল ইসলাম ওরফে রুহুল আমিন। তিনি কেশবপুরের চাঁদড়া নবাববাড়ি এলাকার আবুল হোসেন মোড়লের ছেলে। আজ মঙ্গলবার এসআই হাসানুজ্জামান ও নাজমুল ইসলামকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে নাজমুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি এসআই হাসানুজ্জামানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কেশবপুরের ভালুকঘর ক্যাম্পের এসআই দিবাকর মালাকর, এএসআই শফিকুল ইসলাম ও এএসআই রিপন কুমার হালদার ক্রেতা সেজে উপজেলার চাঁদড়া পালপাড়া মোড়স্থ জনৈক নুর মোহাম্মদের দোকানের সামনে ওঁৎ পেতে থাকেন।
এ সময় দুটি অ্যাপাচি মোটরসাইকেলে করে (ঢাকা মেট্রো-ল-৩২-৭৭২২ ও যশোর-ল-১৩-০৫২৮) তিন ব্যক্তি সেখানে আসেন। একটি মোটরসাইকেলে দুজন এবং অপর মোটরসাইকেলে একজন ছিলেন। তারা এসেই পুলিশের ফাঁদে পা দিয়ে ক্রেতার খোঁজ করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে ভালুকঘর ক্যাম্পের পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলার মুহূর্তে এস আই হাসানুজ্জামান তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ মোটরসাইকেলের ওপর রেখে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান। ভালুকঘর ক্যাম্পের পুলিশ ধাওয়া করেও সেই সময় তাকে আটক করতে পারেনি। পরে পুলিশ এসআই হাসানুজ্জামানের রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে ২ কেজি গাঁজা, পুলিশের পোশাক উদ্ধার করে।
এছাড়া অপর একটি মোটরসাইকেল থেকে আরো এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, ওই ঘটনায় এসআই দিবাকর মালাকর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ জনকে আসামি করে গত সোমবার কেশবপুর থানায় একটি মামলা (নং-১০) করেন। আসামিরা হচ্ছেন-নাজমুল ইসলাম ওরফে রুহুল আমিন, মনিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা দক্ষিণপাড়ার মশিয়ার রহমান মশির ছেলে শহিদ এবং চৌগাছা থানা পুলিশের এসআই হাসানুজ্জামান।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, পলাতক আসামিদের মধ্যে এসআই হাসানুজ্জামানকে পরে পুলিশ আটক করে।
কালের কন্ঠ