বাগেরহাটের ফকিরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজান এক অসহায় নারীর কাছ থেকে হুমকি দিয়ে ঘুষ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই পুলিশ কর্মকর্তা নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলায় হওয়ার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার ফকিরহাট উপজেলার আট্রাকী গ্রামের এক নারী ফকিরহাট মডেল থানায় তার স্বামী বাবুল শেখের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজান বাদীর বাড়িতে তদন্তে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং ঘুষ দাবি করেন। আর তাকে ঘুষ না দিলে তিনি বাদীর বিপক্ষে প্রতিবেদন তৈরি করবেন বলেও হুমকি দেন। আমাদের সময়
এসআই মিজান ঘুষ চাইলে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা জানিয়ে ওই নারী বলেন, তার ঘুষ দেওয়ার মতো সামর্থ একেবারেই নেই। স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর করে তাকে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দিয়েছেন। সেখানে তিনি দরিদ্র মা-বাবার কাছে তিন বেলা খাবারও পাচ্ছেন না, ঘুষ কোথায় থেকে দেবেন।
এ কথা শুনে এসআই মিজান আরও ক্ষিপ্ত হলে একপযার্য়ে পাশের বাড়ি থেকে এক হাজার টাকা ধার করে এনে তাকে দিতে বাধ্য হন ভুক্তভোগী নারী।
এ ছাড়া এসআই মিজান বেশিরভাগ জায়গায় তদন্তে গিয়েই নিজের বাড়ি গোপালগঞ্জে বলে দাপট দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ করেন বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়ে জানতে এসআই মো. মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
ফকিরহাট মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মো. খায়রুল আনাম বলেন, “ভুক্তভোগী নারীকে থানায় তলব করার পর এসআই মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় মহিলার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।”