সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে আল-কায়েদা সমর্থিত মুজাহিদদের উপর হামলা বৃদ্ধি করেছে দেশটির সর্ববৃহৎ বিদ্রোহী গ্রুপ তাহরিরুশ শাম(এইচটিএস)। এসময় তারা আল-কায়েদার বেশ কয়েকজন উমারা ও মুজাহিদকে বন্দিও করেছে।
শাম তথা সিরিয়া ইস্যুতে দখলদার রাশিয়া ও তুর্কিদের মাঝে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চুক্তি হয়েছে কয়েক দফায়। এসব চুক্তির তিক্ততা আজ পুরো শামের মুসলিমদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে।
অপরদিকে ত্রিভুজের তৃতীয় মেরুতে থাকা তাহরিরুশ শামও তুর্কিদের সাথে কিছু গোপন চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির আওতায় এইচটিএস যোদ্ধারা মুক্ত ইদলিব, আলেপ্পো ও লাতাকিয়ার প্রধান সড়কগুলো ক্রুসেডার রাশিয়া ও তুর্কি সামরিক বাহিনীর জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এসব সড়ক হয়ে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর টহলদলগুলো নির্বিঘ্নে লাতাকিয়া হতে আলেপ্পো পর্যন্ত চলাচল করছে। এক রাশিয়ান অফিসার তো এটাও বলেছে ‘এগুলো আমাদেরই নিয়ন্ত্রিত এলাকা’! অর্থাৎ হাজার হাজার মুজাহিদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়া এই মুক্ত এলাকাগুলোকে এখন তারা নিজেদেরই এলাকা বলছে।
তুর্কির সাথে হওয়া এসব গোপন চুক্তির কারণে তাহরিরুশ শামের যোদ্ধারা অন্যকোনো জিহাদি ও বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে ক্রুসেডার রাশিয়া-ইরান ও মুরতাদ নুসাইরি বাহিনীর উপর হামলা করতে দিচ্ছেনা। বিভিন্ন বাহানায় মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে অভিযান পরিচালনা করতে বাধা দিচ্ছে। যেহেতু বর্তমানে মুক্ত এলাকাগুলোর সিংহভাগ অংশই এইচটিএস ও তুর্কিপন্থীদের দখলে, তাই মুজাহিদিনরা অত্র অঞ্চলে শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
এদিকে অধিকাংশ বিদ্রোহী গ্রুপ, বিশেষকরে তুর্কিপন্থী মডারেট গ্রুপগুলো তাহরিরুশ শামের এধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নিলেও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জিহাদী গ্রুপগুলো তা মেনে নিতে পারেনি। আল-কায়েদা নিজেদের পলিসিতে অটল। ফলে তারা ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর অবস্থানে যথারীতি হামলা চালাতে থাকে ।
স্বভাবতই আল-কায়েদার এই অনড় অবস্থান তাহরিরুশ শাম ও তুর্কিদের গোপন চুক্তির বিরুদ্ধে যায়। তাহরিরুশ শামের এসকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মুক্ত এলাকায় অবস্থানরত কোনো সাংবাদিকও কিছু প্রকাশ করতে পারছে না। আমরা দেখেছি ইতোপূর্বে দলটির এহেন কর্মকাণ্ড ও তুর্কিদের সাথে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলায় গ্রেফতার হতে হয়েছে সাংবাদিক বিলাল আব্দুল কারিম ও আহমদ রিহালকে। গ্রেফতার করা হয়েছিলো এক অস্ট্রেলিয়ান স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকেও। এছাড়াও দলটির এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা ও এইচটিএস ত্যাগ করে অন্য হকপন্থী দলে যোগ দেওয়ায় অনেক আলেমকে বন্দিত্ব বরণ করতে হয়েছে। এমনকি এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি খোদ তাহরিরুশ শামের সাবেক শরিয়াহ্ বোর্ডের প্রধান শাইখ সামি আল-উরাইদিসহ অনেক হকপন্থী আলেম ও মুজাহিদ উমারাগণ। আর এই তালিকা প্রতিনিয়ত দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
ধীরে ধীরে মুজাহিদিনরা যখন তাহরিরুশ শাম ত্যাগ করে তানযিম হুররাস আদ-দীন ও ওয়া হাররিদিল মু’মিমিন অপারেশন রুমে যোগ দিতে শুরু করলেন তখন সেটা তারা মেনে নিতে পারলো না। মুজাহিদিনের উপর তারা আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠলো। বিশ্বস্ত সংবাদ সূত্র হতে আমরা জানতে পেরেছি, মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রিত ওয়া হাররিদিল মুমিমিন অপারেশন রুমে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি এবং আনসারুত তাওহিদও যোগ দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু এইচটিএসের বাধার মুখে এটা সম্ভব হয়নি। তারা উভয় দলকে বিভিন্নভাবে চাপ দিলে আনসারুত তাওহিদ স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অপরদিকে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির জন্য এইচটিএসের চাপ মোকাবিলা করা অনেকটা অসম্ভবপ্রায় ছিলো। কেননা তাদের অধিকাংশ সদস্যই মুহাজির; যাদের পরিবার এইচটিএস নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেই বসবাস করেন। নিজেদের কোনো আবাসস্থল ছিলো না তাদের। তাছাড়া আলেপ্পো সিটি মুজাহিদদের হাতছাড়া হলে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির নিয়ন্ত্রিত এলাকা শুধু লাতাকিয়াতেই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
এরপর এইচটিএস লাতাকিয়ার সীমান্ত এলাকা হতে কৌশলে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টিকে হটিয়ে ভিতরে নিয়ে আসে। যেহেতু তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি তখনো এইচটিএসের অনুগত ছিলো, তাই এ ব্যাপারে তারা তখন কোনো বাদ-প্রতিবাদ করতে পারেননি। ফলে এইচটিএসের প্রাণকেন্দ্রে থেকে এর বিপক্ষে গিয়ে তানযিম হুররাস আদ দীনের অংশ হওয়াটা দলটির জন্য অসম্ভব হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি এইচটিএসের অধীনে কাজ করতে থাকে। এভাবে অত্র অঞ্চলের বেশ কয়েকটি মুজাহিদ গ্রুপকে জিম্মি করে রাখে এইচটিএস।
এমতাবস্থায় এইচটিএস আল-কায়েদা সমর্থিত তানজিম হুররাস আদ দীনকে নিজেদের একমাত্র শত্রু হিসেবে গ্রহণ করে। আল-কায়েদা মুজাহিদিনকে দমন করতে এ পর্যন্ত তিন বার মুজাহিদিনের ট্যাঙ্ক ও ভারি অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে। এছাড়াও মুজাহিদ উমারা ও তাদের পরিবার-পরিজনকে বন্দী করেছে।
এসকল জুলুমের পরেও আল-কায়েদা মুজাহিদগণ তাহরিরুশ শামকে নিজেদের ভাই মনে করে বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে থাকেন। তাদের দেওয়া সম্ভাব্য শর্তগুলোও মুজাহিদগণ মেনে নেন।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে আরো পাঁচটি মুজাহিদ গ্রুপের সমন্বয়ে ফাসবুতু নামে একটি নতুন অপারেশন রুম গঠন করেন আল-কায়েদা মুজাহিদিন। নতুন এই অপারেশ রুমের আমির নিযুক্ত করা হয় শাইখ আবু মালেক আশ-শামি হাফিজাহুল্লাহকে। যিনি প্রথমে হিমসে এইচটিএস এর সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন, এরপর ইদলিবেও দীর্ঘ একটি সময় এইচটিএস কমান্ডো বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এইচটিএস এর ভুল সিদ্ধান্ত, কাফেরদের প্রতি কোমল নীতি ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাদের কঠোরতা তাকে চিন্তিত করে। ফলে তিনি এইচটিএস ত্যাগ করে নতুন দল গঠন করে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে শুরু করেন। এসময় এইচটিএস শাইখের এই নতুন দল গঠন নিয়ে চিন্তিত ছিলো না। কিন্তু যখনই শাইখ আল-কায়েদার অধীনে কাজ করার ঘোষণা দিলেন এবং নতুন অপারেশন রুমে অংশগ্রহণ করলেন, এর চার দিন পরেই তারা শাইখের বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং তাঁকে গ্রেফতার করে।
এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শামের জিহাদি গ্রুপগুলো এর মৌখিক প্রতিবাদ জানায় এবং গ্রেফতারির কারণ জানতে চায়। গ্রেফতারের পেছনে কোনো কারণ দেখাতে না পেরে তারা মিথ্যা ও একগুয়েমির আশ্রয় নিলো। তারা বললো, আমরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
কিন্তু সেই অভ্যন্তরীণ বিষয় কী তা জানায়নি এইচটিএস। শাইখকে গ্রেফতারের দু’দিন আগে হুররাস আদ দীন অপারেশন রুমের সামরিক কমান্ডার শাইখ আবু সালেহ্ উজবেকি হাফিজাহুল্লাহ্ ও তার ৩ সাথীকে বন্দী করেছিলো এইচটিএস যোদ্ধারা।
এমন পরিস্থিতিতেও আল-কায়েদার নবগঠিত অপারেশন রুম এইচটিএসের সাথে কোনোধরনের বিবাদে জড়ায়নি। বরং পার্শ্বযুদ্ধে না জড়ানোর নীতি মেনে চলে মুজাহিদিনরা ক্রুসেডার রাশিয়া-ইরান ও নুসাইরি শিয়া বাহিনীর উপর হামলা জোরদার করেন।
কিন্তু এইচটিএস তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আল-কায়েদার এই হামলা মেনে নিতে পারেনি। ফলে যেচে পড়ে তারা আল-কায়েদার ঘাঁটিতে হামলা চালাতে শুরু করে। এসব হামলায় মুজাহিদিনের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকি ও সামরিক চেকপোস্ট ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও হামলায় ২ জন সিভিলিয়ান নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২।
জনসাধারণ যখন তাহরিরুশ শামের এসকল অপরাধ নিয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করল, তখন নতুন নাটক মঞ্চায়ন করলো তারা। আল-কায়েদা মুজাহিদগণ সাধারণ জনগণের ১০টি গাড়িসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র চুরি করেছে এমন খবর চাউর করলো তারা। এছাড়াও তারা বললো, মুজাহিদগণ ইদলিবে এইচটিএস এর একটি কারাগারে হামলা চালিয়ে তাদের অনেক সৈন্যকে আহত করেছে এবং কারাগারের আশপাশে থাকা তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে গেছে। এভাবেই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে এইচটিএসের সাধারণ সৈনিকদের মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তোলা হয়।
এইচটিএসের এহেন মিথ্যাচার ও অপপ্রচার নাকচ করে দিয়ে আল-কায়েদা মুজাহিদিনরা তাদেরকে এসব বিষয়ের সমাধানে শর’য়ি আদালতে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা মুজাহিদিনের এই ডাক বরাবরই উপেক্ষা করে আসছে।
উপরের পর্যালোচনা থেকে পাঠকের বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় প্রকৃত নাটের গুরু কারা। কাদের মাধ্যমে চলমান সংকট এবং ফিতনার উৎপত্তি হয়েছে।
আল্লাহ্ তা’আলা জালিমদেরকে হিদায়াত দান করুন এবং হকপন্থী মুজাহিদদের শক্তি বৃদ্ধি করুন। তাদের বিজয় তরান্বিত করুন এবং তাদেরকে সত্যের উপর দৃঢ়পথ রাখুন। আমিন
ইন্না লিল্লাহ। ভাই অতি দুঃখের সংবাদ
allah..priyo vaider shahajjo koren…ei kharap shomoye emon obujh kaj keno kore muslim houa shotteu? assa operation room “fasbutu” er pokkho theke jobabi hamla kora hoy ni?
ফিতনার সময় মু’মিনের করণীয়ঃ
উছমান (রাঃ ) এর হত্যা থেকেই উম্মাাতে মুহাম্মাাদীর ভিতরে ফিতনার সূচনা হয়েছে। কিয়ামতের পূর্বে তা আর বন্ধ হবেনা। আমাদের প্রিয় নবী (ছাঃ) ফিতনার সময় মু’মিনদের করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়ে গেছেন। ফিতনার সময় যেহেতু যুদ্ধরত ও বিবাদমান দলগুলোর কোনটির দাবী সত্য তা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। তাই তিনি এহেন জটিল পরিস্থিতে কোন দলের পক্ষে যোগদিয়ে যুদ্ধে নামতে নিষেধ করেছন। সে সময় যার ছাগলের পাল থাকবে তাকে ছাগলের পাল নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় চলে যেতে বলেছেন কিংবা ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্তে প্রহরায় পৌঁছে গেলে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেও যুদ্ধে শরীক হতে নিষেধ করেছেন। কারণ এটাই হবে তার ঈমানের জন্যে নিরাপদ। নবী (ছাঃ) বলেনঃ
اءِنَّهَا سَتَقُو نُ فِتَنٌ أَلَ ثُمَّ تَكُو نُ فِتْنَةٌ الْقَا عِدُ فِهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي فِهَا خَيْرٌ مِنَ السَّ عِي إِلَيْهَا أَل فَءِذَا نَزَلَتْ أَوْ وَقَعَتْ فَمَنْ كَنَلَهَ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِاءِباِلِهِ وَمنْ كَنَتْ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلَحَقْ بِغَنَمِهِ وَمَنْ كَنَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْهَقْ بأَرْضِهِ قاَلَ فَقَالَ رَجُلٌ ياَ رَسُولَ الّلهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ إِبِلٌ وَلَا غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ قَلَ يَعْمِدُ إِلَى سَيْفِهِ فَيَدُقُّ علَى حَلَى حَدَّهِ بِحَجَرٍ ثُمَّ لِيَنْجُ إِنِ اسْتَطاَ عَ النَّجاَ ءَ اللّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ قَلَ فَقاَلَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أُكْرِ هْتُ حَتَّى يُنْطَلَقَ بِي إِلَى أَحَدِ الصَّفَّيْنِ أَوْ إِحْدَى الْفِسَتَيْنِ فَضَرَبَنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ أَوْ يَجِيءُ سَهْمٌ فَيَقْتُلُنِي قَلَ يَبُو ءُ بِاءِثْمِهِ وَإِثْمِكَ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ
“ অচিরেই বিভিন্ন রকম ফিতনার আবির্ভাব ঘটবে। ফিতনার সময় বসে থাকা ব্যক্তি ফিতনার দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসরমান ব্যাক্তির চেয়ে এবং পায়ে হেঁটে চলমান ব্যক্তি আরোহী ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক নিরাপদ ও উত্তম হবে। ফিতনা শুরু হয়ে গেলে যার উট থাকবে সে যেন উটের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং যার ছাগল আছে সে যেন ছাগলের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে । আর যার চাষাবাদের যমিন আছে, সে যেন চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত থাকে। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোঃ হে আল্লাহর নবী! যার কোন কিছুই নেই সে কি করবে? নবী (ছাঃ) বললেনঃ পাথর দিয়ে তার তলোয়ারকে ভোঁতা করে ফেলে নিরস্ত্র হয়ে যাবে এবং ফিতনা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করবে। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌছে দিয়েছি! হে আল্লাহ আমি কি আমার দায়িত্ব পৌছে দিয়েছি? অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! কেউ যদি আমাকে জোর করে কোন দলে নিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে কারো তলোয়ার বা তীরের আঘাতে আমি নিহত হই তাহলে আমার অব্যস্থা কি হবে? উত্তরে নবী (ছাঃ ) বললেনঃ
“ সে তার পাপ এবং তোমার পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামের অধিবাসী হবে”। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুলঃ ফিতান।)
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন, ইয়া আল্লাহ শামের মুজাহিদদের সকল প্রকার ফিতনা হতে নিরাপদ রাখুন, তাদেরকে মুসলিমদের প্রতি কোমল ও কুফফারদের প্রতি কঠোর করে দিন, হকপন্থী মুজাহিদদের সাহায্য করুন, তাদেরকে শক্তিশালী করুন, বিজয় দান করুন, আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
@hdkshjfkdsks ভাই শুধু হাদীস জানলে হবে না, হাদীস জানার সাথে সাথে হাদীসের ফিকহও জানতে হবে। বর্তমানে মুরতাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ এতে মতভিন্নতার সুযোগ নেই। স্পষ্ট নস বিদ্যমান। সরকারের কুফর স্পষ্ট।
দাওয়াহ ইলাল্লাহ ওয়েবসাইটের ব্যাপারে কিছু বলুন! ওয়েবসাইটটিতে ঢুকা যাচ্ছে না।
একটি জরুরী ঘোষণা: দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের ডোমেইন এবং হোস্টিং রিলেটেড কাজ চলছে… বিস্তারিত জানতে জাস্টপেস্ট লিংকে নজর রাখুন! – https://justpaste.it/dawahilallah_com
Allah hefazit kurun amin
Innahlillah