আমি ওদের কাছে আমার স্বামীর প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, এভাবে মারবেন না। ও মরে যাবে। তবুও ওরা শুনল না। এতটুকু মায়া ওরা দেখালো না দেশের একজন মুসলিম নাগরিকের প্রতি। এই কথাগুলোই বলছিলেন মৃত সুলতানের স্ত্রী।
সুলতানের বয়স হয়েছিল ৪৪। এই বয়সের একজন ব্যাক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। খুনি আলিগড়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের স্টাফরা। আলিগড়ের কারেকা তেহসিলের বাসিন্দা ছিলেন সুলতান।
২ জুলাই তার স্ত্রী, পুত্র ও ভাইপো চমন আলিগড়ের এন বি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য গিয়েছিলেন। পরিবারের বয়ান অনুসারে, সুলতান ডিসিউরিয়া (মূত্র সংক্রান্ত রোগ) রোগে ভুগছিলেন কিছুদিন থেকে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো মানুষের পকেট কাটে, ওরা কষাই, এমন কথা প্রায়শই শোনা যায়। এক্ষেত্রে অনেকটা সেটাই ঘটে। অতিরিক্ত অর্থের দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এইসময় সেটা দিতে অস্বীকার করায় স্টাফরা সুলতানকে পেটাতে শুরু করে। মারতে মারতে আক্রোশে মেরেই ফেলে।
এইদিনই একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, একজন মানুষ হাসপাতাল থেকে দৌড়ে গিয়ে স্কুটিতে বসা মানুষকে মারছে। সুলতানের ভাইপো চমন জানান, আমি ও সুলতান স্কুটিতে ছিলাম। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় চমন একজনকে ধাক্কা দিয়ে আত্মরক্ষা করে। এই সময় তার কাকা প্রচণ্ড আহত। রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। প্রাণনাশের আশঙ্কায় চমন পালটা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। যেখানে মানুষ প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে যায়, সেখানে গিয়েই প্রাণ খোয়াতে হলো সুলতানকে।