তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দ্বিতীয় দিনে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ছালাপাক এলাকায় বাঁধের ৭০০ মিটার অংশ ভেঙ্গে আশপাশের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সদ্য লাগানো আমনের আবাদসহ ফসলি জমি। দুটি সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, তিস্তার পানির তোড়ে ছালাপাক এলাকায় বাদশা নামের এক ব্যক্তি জমিজমার ভাঙ্গণ ও বন্যার পানি রোধে প্রায় ১০০০ মিটারের একটি বালির বাঁধ নির্মাণ করেন। পানি বাড়ায় রোববার ভোরে তার ৭০০ মিটার ধ্বসে যায়। এতে হুহু করে পানিতে তলিয়ে যায় বাঁধটির পুর্বপার্শ্বেও গজঘন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, রমাকান্ত, গাউছিয়া, আলাল, মহিশা শুর, আলমার বাজারসহ আশেপাশের ১০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নুতন করে ৫ হাজার মানুষ। কোমড় পানির নীচে সেখানকার সদ্য লাগানো আমন ধারের চারা, আমনের বীজতলা, বাদাম, পাটসহ ফসলি জমি। এছাড়াও গাউছিয়া যাওয়ার পথে একটি সড়ক এবং ছালাপাকের একটি সড়ক পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার মানুষ।
অন্যদিকে পানি বাড়ায় আলমবিদিতর ইউনিয়নের গাটুপাড়া এলাকায় ৫০ মিটার এবং ভুদভুদিপাড়ায় ২০ মিটার অংশ ভেঙ্গে গেছে। পাইকান জুম্মাপাড়ায় মাদরাসার সামনে ধ্বস ধরায় আতংকে আছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও মসজিদ। এছাড়াও নোহালী ইউনিয়নের আলসিয়া পাড়ায় তিস্তা ডান তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঘুটামারি এলাকার টি বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
ইংশা আল্লাহ যেদিন প্রিয় এই ভূমি ইসলামী খেলাফাহর অধীনে হবে, সেদিন থেকে সকলের সমস্ত দুঃখ দূর্দশা বন্যার পানির ন্যায় ভেসে যাবে। আল্লাহ আপনি মাজলুমদের সহায় হোন। বিপদে পড়া ভাইদেরকে আপনি সাহায্য করুন। আমীন।