ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ, কাজ বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ করে অর্থ অপচয়, নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্ধারিত সময়ে বুঝিয়ে না দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর প্রতিষ্ঠান ভাওয়াল কন্সট্রাকসনের মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দু শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে প্রশাসনিক তদারকি নিশ্চিত না করার পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। আগামী সাত দিনের মধ্যে নিম্নমানের কাজ ও সময় ক্ষেপণের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদন্ত ও রিপোর্ট পেশ করা, প্রতিবার কাজ বাগিয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করা পরিকল্পনা উন্নয়নের উপ পরিচালক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করার দাবি জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা বিভাগের হাফিজুর রহমান এই দপ্তরটাকে দুর্নীতি আখরা বানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তার সিংহভাগই বাচ্চুর সাথে আতাত করে ডিপিডি হাফিজুর রহমান তার মাধ্যমেই নিম্নমানের কাজ করিয়ে থাকেন। এই ঠিকাদারের দাপটে অন্য কোনো ঠিকাদার ক্যাম্পাসে কাজ করতে পারেন না।
উল্লেখ্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একশত কোটি টাকা বাস্তবায়নের মধ্যে ৯০ কোটির টাকার কাজ বাগিয়ে নেওয়াসহ ২০০৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত ও চলমানের তিনশত কোটি টাকার কাজের মধ্যে ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভাউয়াল কন্সট্রাকশন প্রায় ২০০ কোটির কাজ ভাগিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা। কালের কন্ঠ