ভারতের হিন্দু মালাউনরা নির্মমভাবে পাঠা বলি দিলেও তাদের মায়াকান্না গরু নিয়ে। যদিও বিশ্বে গোমাংশ রপ্তানিতে ভারত অন্যতম। তবুও গোমূত্র খোররা মুসলিমদের কোরবানি ঈদে আল্লাহ তায়ালার নামে উৎসর্গ করে জবাইকে প্রাণীগুলোর উপর ’নির্যাতন’ হিসেতে আখ্যায়িত করেছে।
সংবাদে বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি’র বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ”প্রাণীগুলোকে পরম যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করা হয়। কিন্তু কোরবানি ঈদের নামে উৎসর্গ করে জবাই করার অর্থ হলো নির্যাতন করা।”
বিজিবি বলছে, এ কথাটি ইসলাম ধর্মের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদুল আজহা’র জন্য অবমাননাকর এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার শামিল।
ভারত থেকে গরু পাচারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহযোগিতা করা এবং কোরবানির নামে পশুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে- ভারতীয় বিএসএফের দেওয়া এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিজিবি।
রবিবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৩ জুলাই ভারতীয় The Indian Express পত্রিকায় ‘BSF: Border Guard Bangladesh supports cattle smuggling’- শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে গত ৬ জুলাই বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া স্বাক্ষরিত হিন্দি ভাষায় লিখিত এক সংবাদ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিএসএফ দাবি করছে ভারত থেকে গরু পাচারে বিজিবিসম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাচ্ছে।
বিজিবি বলছে, প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চোরাকারবারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ভারতের মাটিতে গরু সমাগম ও নদীপথে গরু পাচারে বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা/তৎপরতার অভাব নিঃসন্দেহে বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণা করে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ভারতীয় গরু পাচারকারীরা অধিক মুনাফার আশায় বাংলাদেশে এভাবে গরু পাচার করার কাজে অতি উৎসাহী হয়। এতে করে দেশীয় খামারিগুলো প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এতে বলা হয়, এ প্রেক্ষিতে গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি অত্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বিজিবি কর্তৃক সীমান্তে গবাদিপশু চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা আয়োজন, সীমান্তবর্তী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাত্রিকালীন পাহারা দেওয়া ও সীমান্তে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবি বলছে, মূলত গরু চোরাচালান প্রতিরোধে বিএসএফের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্যই ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হতে পারে বলে অনুমেয়।