বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আট মাস ধরে নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর সদস্যদের মধ্যে চলছে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব। এর জের ধরে ওই ইউনিয়নে বন্ধ রয়েছে নাগরিক সেবা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন সাইফুল ইসলাম ফটিক। বার্ধক্যজনিত কারণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ কারণে ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।
সরকারি বিধি মোতাবেক ২০১৯ সালের ৬ মার্চ কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সভায় বিপ্লব হোসেনকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর পর সদস্য বিপ্লব হোসেন ২৬ ফেব্রুয়ারি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিন্তু বিপ্লব হোসেনকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিতে পারেননি ওই ইউনিয়ন পরিষদের অন্য সদস্যরা। এ নিয়ে সদস্যদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় ইউনিয়নটিতে সব ধরনের নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু তারপরও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সব কাজের কেন্দ্রবিন্দু হলেন চেয়ারম্যান। তিনি পরিষদের প্রধান নির্বাহী, পরিষদের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের অনুমোদন দরকার হয়। এককথায় উন্নয়ন, রাজস্ব, প্রশাসনসহ ইউনিয়নের সব ধরনের কাজ তদারকির দায়িত্ব চেয়ারম্যানের। প্রতিদিন অন্তত অর্ধশত নাগরিক জন্ম-মৃত্যুর সনদ, নাগরিক/চারিত্রিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশিয়ান সনদ, গ্রাম আদালতের বিচারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে চেয়ারম্যানের কাছে আসেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের পদ শূন্য থাকায় মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যান।
উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাসুদ রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুধু নাগরিক সেবাই নয়, ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন বন্ধ আছে। এ কারণে নাগরিক দুর্ভোগের পাশাপাশি উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাংক থেকে এলজিএসপি’র টাকা উত্তোলন করতে না পারায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। কালের কন্ঠ