মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানিকে নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে তালিবান

3
3373
মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানিকে নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে তালিবান

সম্প্রতি আফগান জিহাদের অগ্রদূত আলহাজ্ব মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ এর উপর ১ ঘন্টা ১৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের অফিসিয়াল মিডিয়া মানবাউল জিহাদ। মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ এর জীবনের বিভিন্ন দিক, তাঁর ফটো, অডিও-ভিডিও বার্তা, যুদ্ধের কিছু মুহূর্ত এবং জানাযার সালাতের ভিডিও ফুটেজ দিয়ে সাজানো হয়েছে ডকুমেন্টারিটি। এছাড়া, প্রথমবারের মতো মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ এর ছেলে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের নায়েবে আমীর আলহাজ্ব খলিফা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহকে ডকুমেন্টারিতে ভিডিও বার্তা দিতে দেখা গেছে।
পবিত্র কুরআনের সূরা আলি-ইমরানের ১৯৫ নাম্বার আয়াত দিয়ে শুরু করা হয় ডকুমেন্টারি। আয়াতটিতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,


فَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَأُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَأُوذُوا فِي سَبِيلِي وَقَاتَلُوا وَقُتِلُوا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ثَوَابًا مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عِندَهُ حُسْنُ الثَّوَابِ

‘তারপর সে সমস্ত লোক যারা হিজরত করেছে, তাদেরকে নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতি উৎপীড়ন করা হয়েছে আমার পথে এবং যারা লড়াই করেছে ও মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই আমি তাদের উপর থেকে অকল্যাণকে অপসারিত করবো এবং তাদেরকে প্রবিষ্ট করবো জান্নাতে যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম বিনিময়।’
এরপর দেওয়া হয় মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ এর একটি ভিডিও বক্তৃতা। বক্তৃতাটিতে তিনি বলেন, “আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’য়ালা বলেন, ‘আল্লাহকে ভয় করো’।[সূরা তাওবা, আয়াত:১১৯] যখন মানুষ দলে দলে বিভক্ত হয়ে যায়, তখন তোমরা ‘সত্যবাদীদের সাথে থাকো।’ [সূরা তাওবা, আয়াত:১১৯]
এখানে সত্যবাদী মানে হলো, যারা তাদের কথা ও প্রতিশ্রুতিতে সত্যবাদী এবং নিজেদের চেয়ে প্রাধান্য দিয়ে মুসলিম জাতির খেদমত করে। প্রকৃতপক্ষে এরাই হলো সত্যবাদী।”
তারপর আরেকটি বক্তৃতা উল্লেখ করা হয়। সেই বক্তৃতাটি মূলত রাশিয়াকে পরাজিত করার পর আফগানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাস্বরূপ তিনি দিয়েছিলেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘খলক সরকারের পতন এবং কমিউনিস্ট ও রাশিয়ানদের পরাজয়ের পর, এখন কমান্ডার ও মুজাহিদিনের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের উপর ঘৃণা, নিষ্ঠুরতা, আধিপত্য দেখানো, বাধ্য করা এবং প্রহার করা কোনোভাবেই উচিত নয়। যেন লোকেরা ইসলামি অভ্যুত্থানের প্রতিফল নিজ চোখে দেখতে পারে। যেন তারা দেখে এই অভ্যুত্থান এদেশে ইসলাম নিয়ে এসেছে, এনেছে ভ্রাতৃত্ববোধ, দয়া, সেবা, নম্রতা, একতা এবং এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের মমতা। এটা ঠিক যেন একটি দেহের মতো, যে দেহের প্রতিটি অঙ্গ দুঃখ, কষ্ট এবং আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। এখন আমাদের অভিজ্ঞতা, অস্ত্রশস্ত্র এবং ক্ষমতা যেন মুসলিমদের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত না হয়, আমরা যেন আফগানদেরকে বিভক্ত না করে ফেলি। ইসলামের দাবি করার পর আমরা যেন তাদেরকে আবার হিজরতে বাধ্য না করি।’
এভাবে ডকুমেন্টারিতে মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ এর বেশ কয়েকটি অডিও ও ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়েছে। কোনোটিতে তাঁর যৌবনদীপ্ত কণ্ঠ শোনা গেছে, আবার কোনোটিতে শোনা গেছে বৃদ্ধকণ্ঠে রণহুংকার, প্রয়োজনীয় নসিহাহ।
একটি বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকেরা শাহাদাতবরণ করার পর জিহাদের ময়দানে আমাদের প্রচেষ্টা ও মনোবল আরো বাড়ানো দরকার। যেন আমাদের দৃঢ়চেতা মনোবল, শক্তিমত্তা, সাহস দেখে শত্রুদের মনোবল দুর্বল হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, তারা (শত্রুরা) বার বার মিথ্যা প্রচার করেছে যে, জালালুদ্দিন হাক্কানি অসুস্থতার ফলে দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। আমি না কখনো ব্যবসায়ী ছিলাম, আর না দোকানদার যে, আমি দুবাইতে ঘুরতে যাবো। বরং তোমরা যদি আমাকে খুঁজতে চাও তবে যুদ্ধের ময়দানে খোঁজ। আল্লাহর অনুগ্রহে আমাকে যুদ্ধের ময়দানেই পাবে।
ডকুমেন্টারিতে মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ এর ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাঁর জীবন কেটেছে দ্বীনের দাওয়াত, সংগ্রাম, সমাজ-সংস্কার এবং জিহাদে। তিনি ছিলেন দু-দুটি সুপারপাওয়ারকে ধরাশায়ী করার প্রত্যক্ষদর্শী এবং অগ্রদূত। অর্ধশত বছর তিনি কাটিয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে। তিনি একজন মহান গাজি।
যখন দখলদার রাশিয়ার পর দখলদার আমেরিকা আফগানে আক্রমণ করেছে, তখন নিরবতা ভেঙ্গে তিনি বুঝিয়েছেন রাশিয়ার মতো আমেরিকার মোকাবেলা করাও মুসলিমদের উপর ফরজ। দুটি দেশের আগ্রাসন, নির্যাতন ও দখলদারিত্ব এক এবং অভিন্ন। তাই লাল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেমন তিনি দৃঢ়চেতা ছিলেন, তেমনি কালো আগ্রাসনের মোকাবেলায়ও ছিলেন অবিচল। তিনি চিনিয়েছেন স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে আত্মোৎসর্গ করার পথ। তিনি দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে দেওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি ছিলেন জিহাদের পুনর্জাগরণকারী, মৃত্যু অবধি তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
তাঁর মতে, যেকোনো কাজ করার পূর্বে শরীয়াহ কী বলে তা দেখতে হবে। শরীয়াহ যেখানে দাওয়াহ এবং নসিহাহ করার কথা বলে, আমরা সেখানে দাওয়াহ ও নসিহাহ দেবো। আর শরীয়াত যেখানে চাপ প্রয়োগ ও বাধ্য করতে বলে, আমরা সেখানে চাপ প্রয়োগ ও বাধ্য করবো। আর যখন বিদেশীরা আমাদের ভূমিতে হামলা চালাবে, তখন অবশ্যই লড়াই করতে হবে। তখন অলসতা করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, জিহাদ হলো ঢালের মতো। যদি জিহাদ থাকে, তবে মুসলিমদের জান, মাল, সম্মান এবং দ্বীন নিরাপদ থাকবে।
তিনি শরীয়ার নির্দেশমতেই কাফিরদের বিরুদ্ধে যেমন কঠোর ছিলেন, ঠিক তেমনি শরীয়ার নির্দেশমতেই আহত বন্দীদের প্রতি অনুগ্রহ করে তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান, এমনকি প্রাইভেট ডাক্তার পাঠান তাদের চিকিৎসা করার জন্য। তিনি দরিদ্র, ইয়াতিম, মাজলুমদের প্রতি ছিলেন দয়াশীল। ডকুমেন্টারিটিতে গরিবদেরকে সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টারত অবস্থায় দেখাও গেছে তাঁকে।
রাশিয়াকে পরাজিত করার পর তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান পুনর্গঠনে মনোযোগ দেন। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি কেউ যেন ব্যক্তিগতভাবে দখল করতে না পারে, সে ব্যাপারেও সচেষ্ট ছিলেন মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ। সাধারণ মুসলিম ও জিহাদী নেতাদের মাঝে ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে তিনি দরজায় দরজায় গিয়েছেন, মানুষকে বুঝিয়েছেন।
এরপর নতুনভাবে আফগানে ফিতনার সৃষ্টি হলে তিনি ফিতনা নির্মূলে তালিবান আন্দোলনে যোগ দেন। আল্লাহর অনুগ্রহে দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রুদের পরাজিত করে তালিবান আন্দোলনের মাধ্যমে আফগানে ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ২০০১ সালে আমেরিকার আক্রমণের ফলে ইসলামি ইমারাতের নেতৃবৃন্দ দখলদারদের মোকাবেলায় কৌশলগতভাবে গেরিলা যুদ্ধকে বেছে নেন। এসব পদক্ষেপেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ।
তাঁর সুযোগ্য ছেলে মুহতারাম নায়েবে আমিরুল মুমিনিন সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ বলেন, আমেরিকা আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানোর সময় আমাদের মরহুম আব্বাজান রহিমাহুল্লাহ ছিলেন তৎপর এবং সুদৃঢ়। তিনি এ দেশকে এবং এদেশের মুসলিমদেরকে স্বাধীন করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেছিলেন এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে তিনি তাঁর ৪ ছেলেসহ পরিবার ও আত্মীয়দের অনেক সদস্যকে হারিয়েছেন। ডকুমেন্টারিতে তাঁর ছেলে, ভাই ও আত্মীয়দের মধ্য থেকে যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের ফটোও উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি নিজেও একাধিকবার মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে ডকুমেন্টারিতে দেখা গেছে। তিনি নিজে বলেছেন যে, ২০ বারের মতো তিনি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন যখন মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত! তবুও দ্বীনের পথে লড়াইয়ে তাঁর দৃঢ়তা বিন্দুমাত্র কমেনি; বরং ধৈর্যের সাথে শাহাদাতের অদম্য বাসনায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ময়দানের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। তিনি নিজের জীবন এবং নিজের পরিবারকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে মানুষকে আত্মোৎসর্গ করার শিক্ষা দিয়েছেন।
মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি সম্পর্কে তাঁর ছেলে এবং ইসলামী ইমারতের বর্তমান নায়েবে আমীর সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ বলেন, আমরা তাঁকে (জালালুদ্দিন হাক্কানি) তাঁর কনিষ্ঠ ছেলের শাহাদাতের সংবাদ জানালে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। এভাবে একের পর এক তাঁর ছেলেদের শাহাদাতের সংবাদ শুনে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
এভাবে আত্মোত্যাগ, ধৈর্য এবং জিহাদের ময়দানে বীরত্বের সাক্ষর রেখে ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন মাওলানা জালালুদ্দিন হাক্কানি।
মুহতারাম সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ বলেন, তাঁর বাবার কাছে মৃত্যুর সময় তাঁর শেষ ইচ্ছা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট, মুজাহিদিন ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সন্তুষ্ট। আমি তাঁদের জন্য দোয়া করি এবং তাঁদেরকে ক্ষমা করেছি। দ্বিতীয়ত তিনি বলেন, হে আমার সন্তান, আমি তোমাদের কাছে উত্তরাধিকার সূত্রে কেবল দ্বীন ইসলাম রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা দুনিয়াকে প্রাধান্য দাও এবং দ্বীনকে ছুড়ে ফেলো, তবে আল্লাহ তোমাদের উপর অসন্তুষ্ট হবেন এবং আমিও অসন্তুষ্ট হবো। আর যদি তোমরা দুনিয়ার উপর দ্বীনকে প্রাধান্য দাও, তাহলে আল্লাহও তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন, আমিও হবো। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছি এবং তোমাদের জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন।
তাছাড়াও তিনি মাদরাসা, লাইব্রেরী এবং মুজাহিদিনের দেখাশোনা করার জন্য তাঁর সন্তানদেরকে অসিয়ত করে যান।
এই মহান মনীষীর জানাযার সালাত পড়ান তাঁরই সুযোগ্য সন্তান ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের নায়েবে আমীর খলিফা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ। পিতার কবরও খুঁড়েন তিনি। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর চাচা আলহাজ্ব মুহাম্মাদ ইব্রাহিম হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ। সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ বলেন, মৃত্যু হাক্কানিকে শেষ করতে পারেনি, বরং হাক্কানি মৃত্যুকে পরাজিত করেছেন তাঁর আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে।

3 মন্তব্যসমূহ

  1. “হাক্কানি মৃত্যুকে পরাজিত করেছেন তাঁর আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে।”
    বাক্যটির মাঝে “পরাজিত করেছেন” আপত্তি জনক, কেননা পরাজিত করা / মুকাবেলা করা সমজাতীয় শক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
    আর অমর বুঝাতে হলে অন্য শব্দ ব্যবহার করা উত্তম হবে। ইন শা আল্লাহ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইয়েমেনি দ্বীপে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠায় আমিরাতি পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে আল-কায়েদা শাখার বিবৃতি
পরবর্তী নিবন্ধএবার রাজধানীর ডাস্টবিনে মানুষের খণ্ডিত পা