রংপুরে মেট্রোপলিটন ও জেলা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কর্তৃক সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কাছে চাঁদাবজি ও হয়রানির প্রতিবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা সৈয়দপুর-রংপুর এবং সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এতে উভয় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় যাত্রীরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন। পরে নীলফামারী জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন পরিবহন শ্রমিকরা।
নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমতাজ আলী অভিযোগ করে জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন ও জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট বদরুল, সুজন, বায়েজীদ ও আলমগীর বেশ কিছু দিন যাবৎ রংপুর মহনগরীর মেডিক্যাল মোড়ে বসে নীলফামারী জেলার বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কার, পিকআপ শ্রমিককের কাছে চাঁদাবাজি করছেন। এতে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সামান্য অজুহাতে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। শুধু তাই নয়, পরিবহন শ্রমিকদের কাছে দাবিকৃত উৎকোচ না পেয়ে রংপুরে ট্রাফিক সার্জেন্টরা গাড়ি রিকুইজিশনের হুমকি-ধমকি দেন। ট্রাফিক পুলিশের এমন কাজে নীলফামারী জেলার সকল পরিবহন শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় রংপুর মেপ্রোপলিটর ও জেলা ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (৫ অক্টোবর) নীলফামারী জেলা পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সৈয়দপুর-রংপুর ও সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ওপর এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে অবরোধ সৃষ্টি করলে মহাসড়কে সকল রকম চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত বিভিন্ন রকম যানবাহন আটকা পড়ে যায়।
অবরোধ চলাচলে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ট্রাফিক মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত শ্রমিক সমাবেশ হয়। এতে শ্রমিক নেতারা বক্তব্য দেন।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ও সৈয়দপুর থানার ওসি মো. আবুল হাসনাত খান সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ছুটে যান। এ সময় অশোক কুমার পাল পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। পরে তার মধ্যস্থতায় সৈয়দপুরের পরিবহন শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে দিলে বেলা ২টায় রংপুর-সৈয়দপুর ও সৈয়দপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। কালের কন্ঠ