প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা উত্তোলন করেছিলেন শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের ১০০ উপকারভোগী। টাকা উত্তোলনের সময় ব্যাংকে তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিন সদস্য। ‘প্রথমবার টাকা মেম্বাররাই নেয়, এটাই নিয়ম’—এমন কথা বলে তাঁদের কাছে থেকে ইউপি সদস্যরা দুই থেকে আট হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে এ ঘটনার সত্যতা পায় সমাজসেবা কার্যালয়।
অভিযুক্ত তিনজন হলেন নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিন ফকির, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য মনোয়ারা বেগম ও সালমা আক্তার।
বিজ্ঞাপন
জাজিরা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, নাওডোবা ইউনিয়নে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন ভাতা ভোগ করেন ১ হাজার ৩০২ ব্যক্তি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০ প্রতিবন্ধীকে নতুন করে ভাতার আওতায় আনা হয়। ওই ১০০ ব্যক্তির ভাতার টাকা বিতরণ করা হয় ৫ ও ৬ অক্টোবর।
জাজিরা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এ বি এম সৌরভ রেজা বলেন, সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময় ওই তিন ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কেন সেখানে গিয়েছিলেন, তা জিজ্ঞেস করা হলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। পরে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী ইলিয়াছ তালুকদারের কাছ থেকে ৫ অক্টোবর নয় হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য সালমা আক্তার। বিষয়টি জানিয়ে ইলিয়াছ জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ইলিয়াছ তালুকদার বলেন, টাকা চাইলে সালমা আক্তার দুই হাজার ফেরত দিয়ে বলেন, প্রথমবার টাকা মেম্বাররাই নেয়, এটাই নিয়ম।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য সালমা আক্তার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রথম আলো