সম্প্রতি ক্রুসেডার ফ্রান্স মুসলিমদের হৃদয়ের স্পন্দন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের পর মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়।
এরপরই টনক নড়ে ফ্রান্সের। এবার তারা আরব দেশগুলোর প্রতি পণ্য বয়কট বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে।
ফ্রান্সের পণ্য বয়কট না করার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৫ অক্টোবর রোববার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের পর সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ফ্রান্সের পণ্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া পাশাপাশি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে সব ধরনের আক্রমণাত্মক মনোভাব বন্ধ করুন।
তবে, বিবৃতিতে রাসুল অবমাননার জন্য কোন প্রকার অনুশোচনা প্রকাশ করা হয়নি। নরাধম ম্যাক্রো ইসলামের বিরুদ্ধে এখনও অটল রয়েছে, ইসলামের ধর্মের বিরুদ্ধে তার সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন প্রদর্শনের কারণে দেশটির এক শিক্ষককে চেচেন বংশোদ্ভূত(শিশানী) এক কিশোর গলা গেটে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি তার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। মুসলিম অবিভাবকদের অভিযোগ সত্যেও সে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করেনি। গত শুক্রবার নিজ কর্মস্থল মিডল স্কুলটির সামনের সড়কেই হামলার শিকার হন ওই শিক্ষক। এ ঘটনার পর ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শয়তান ম্যাক্রো।
সে বলেন, এই বিচ্ছিন্নতাবাদ ফ্রান্সের মুসলমান সম্প্রদায়গুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ফ্রান্সের সরকারি ভবনে মহানবীকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ব্যঙ্গ করে চিত্রপ্রদর্শন বন্ধ হবে না বলেও দম্ভ প্রকাশ করে।
এরপর থেকে আরব বিশ্বের দেশগুলো ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানাতে শুরু করে। কুয়েতের বেসরকারি সংস্থা গ্রাহক সমবায় সমিতিগুলো ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ফরাসি পণ্য বয়কট করেছে। দেখা গেছে, দেশটির কয়েকটি দোকান থেকে ফরাসি কোম্পানির পণ্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
রোববার আরব বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ সৌদিতে হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে ফ্রান্সের ফরাসি বহুজাতিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ক্যারফুর বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। জর্ডান ও কাতারেও একইভাবে ফরাসি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।