ফ্রান্সের পণ্যবয়কটের আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিখ্যাত আলেমদের বার্তা

0
1343
ফ্রান্সের পণ্যবয়কটের আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিখ্যাত আলেমদের বার্তা

সূচনাকাল থেকে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি মুসলিম উম্মাহর ভালবাসা ছিল এমন যা বড় বড় কাফেররা দেখে ঈর্ষায় ফেটে যেত। নবীর প্রতি এই ভালোবাসা মুসলিম উম্মাহর অনেক বড় পুঁজি। নবীর প্রতি ভালোবাসার প্রথম দাবি নবীর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা। যেসব সুন্নাহকে কেন্দ্র করে কাফেররা বিদ্রুপ করে সময় এসেছে সে সব সুুন্নাহকে আরো বেশী করে আঁকড়ে তাদের মুখের উপর জবাব দিয়ে দেওয়া, হযরত সালমান ফারসীর ভাষায়-আমি কি আমার প্রিয় নবীর সুন্নত ছেড়ে দেব এসব আহম্মকদের কথায়?

এই মুহূর্তে নবীর প্রতি ভালোবাসার সর্বনিম্ম একটি দাবি, যারা নবীর শানে বেআদবি করে তাদের সাথে সবধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করা। তাদের সাথে কেনাবেচা লেনদেন আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেয়া। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সে পণ্যবয়কট আন্দোলনে অংশ নেয়ারই  আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আলেমগণ।

জগদ্বিখ্যাত আলেম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি তার এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, দোজাহানের সরদার হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তারপর কি কোনো মুসলমানের পক্ষে এটা সম্ভব যে সে এই দেশের পণ্য কেনাবেচা কিংবা আমদানি রফতানি করবে।এই সম্পদ পূজারিদের তখনই উচিত শিক্ষা হবে যখন ইসলামী বিশ্ব তাদের পণ্য বয়কট করবে। এটা হল সর্বনিম্ম একটি প্রতিক্রিয়া যা আমরা এই মুহূর্তে দেখাতে পারি।

আরববিশ্বের আলেম ইউসুফ কারযাভী লিখেছেন, মুসলিম উম্মাহর পক্ষে এটি কখনো সম্ভব নয় তারা তাদের নবীর হক আদায়ে গড়িমসি করবে। মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আমাদের সবকিছুর চাইতে প্রিয়। আমি কিভাবে এমন কোনো জাতির পন্য ক্রয় করি যারা আমার নবীকে অপমান করে? কিভাবে আমরা আমাদের সম্পদ তাদেরকে দেই? কিভাবে আমাদের সম্পদে তাদেরকে লাভবান হতে দেই? না কখনো হতে পারে না। আমাদেরকে সে সব পণ্যের বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। এসব পণ্যে তাদের মুখাপেক্ষী হওয়া যাবে না।

আরব বিশ্বের আরেক প্রথিতযশা আলেম বিশিষ্ট হাদীসবেত্তা শায়খ শরীফ হাতেম লিখেছেন, ফ্রান্স সরকার মুসলমানদেরকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে-তাদের একটাই কথা, হয় তুমি তোমার নবীর গালি দেয়াকে মেনে নাও আর নয়তো তুমি সন্ত্রাসী! সত্যি বলতে কি ফ্রান্স সরকার তাদের সেই মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে। তবে এবার খৃস্টধর্মের গীর্জা দিয়ে নয়, ধর্মনিরপেক্ষতা নামক ধর্মের গীর্জা দিয়ে, যার বর্তমান পাদ্রী ম্যক্রো।

পাকিস্তানের দায়ী আলেম মাওলানা তারিক জামিল তার টুইট বার্তায় লেখেন, রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে বেআদবি করায় সকল মুসলিমের হৃদয় ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। আমি প্রতিটি মুসলিম ভাইকেই বলব, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করে বয়কট আন্দোলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে এই বস্তুপূজারিদের ভোগবিলাসে আপনি একটা আঘাত হলেও করতে পারেন।নিজের সাধ্যের ভিতরে প্রত্যেক মুলমান ফ্রান্সের পণ্য বয়কটকে আবশ্যক করে নিন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুদান-ইসরায়েল সম্পর্কে রাজি : তাওহীদী জনতার বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধপণ্য বয়কট না করার অনুরোধ ফ্রান্সের