আফগানিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার সিআইএ গোয়েন্দা সংস্থা ও কাবুল সরকারের গোয়েন্দা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন তালেবানের শহিদ ব্যাটালিয়নের ৭ জন মুজাহিদ। এতে গোয়েন্দা সদস্যসহ তিনশতাধিক (৩০০+) সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫:৫০ মিনিটের সময় আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে অবস্থিত মুরতাদ কাবুল বাহিনীর প্রাদেশিক সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে শুরু করে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের শহিদ ব্যাটেলিয়নের একটি দল, এই হামলায় অংশগ্রহণ করেন শহিদ ব্যাটেলিয়নের মাত্র ৭ জন তালেবান মুজাহিদ। কাবুল বাহিনীর এই সামরিক ঘাঁটিতেই ছিলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA (সিআইএ) ও কাবুল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার ২টি কার্যালয়ও। এছাড়াও এই ঘাঁটিতে তখন অবস্থান করছিলো ৪ শতাধিক কাবুল সৈন্য।
শহিদ ব্যাটেলিয়নের ২ জন মুজাহিদ প্রথমে ২টি গাড়ি ভর্তি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা সামরিক ঘাঁটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২টি ভবন টার্গেট করে শহিদী হামলা চালান। এতে উক্ত ২টি ভবন পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস হওয়া সহ আশপাশের সামরিক ভবনগুলোরও অনেক অংশ ধ্বসে পড়ে। বোমার আঘাতে পুরো ঘাঁটি ও আশপাশ কালো ধোঁওয়ায় ছেয়ে যায়। এইসময় মুজাহিদের শহিদী হামলায় নিহত ও আহত হয় মুরতাদ বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য।
এরপর বাহিরে অপেক্ষমান বাকি ৫ জন মুজাহিদও ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। তারা ২টি ভাগে পৃথক হয়ে যান এবং কাবুল সরকারের বিশেষ বাহিনী ও গোয়েন্দা ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর শুরু হয় কাবুল বাহিনীর সৈন্যদেরকে টার্গেট করে করে একেরপর এক গুলি করে হত্যা করার বিশেষ মূূহুর্ত। প্রতিমূহুর্তে তালেবানদের শহিদ ব্যাটেলিয়নের উক্ত ৫ জানবাজ মুজাহিদদের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থাকে কাবুল বাহিনীর ডজনকে ডজন সৈন্য।
এভাবেই চলতে থাকে ঐদিন বিকাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ ঘন্টা যাবৎ তালেবান মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান। এসময়ের মধ্যে এক এক করে ৩ জন মুজাহিদ শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। তবে তাঁরা শাহাদাতের পূর্ব পর্যন্ত কাবুল বাহিনীর অন্ততপক্ষে ৩০০ সৈন্য নিহত ও আহত করেছেন। বাকি একজন মুজিহিদ আহত এবং অপর মুজাহিদ নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরতে সক্ষম হন।
অভিযান শেষে নিরাপদে ফিরে আসা একজন মুজাহিদ বলেন, আমি নিজে টার্গেট করেই হত্যা করেছি কাবুল বাহিনীর ৪৫ সৈন্যকে।
উল্লেখ্য যে, দোহা চুক্তির পর ক্রুসেডার আমেরিকা ও কাবুল বাহিনী বারবারই চুক্তি ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও হাট-বাজারে হামলা চালিয়েছে। এতে শহিদ ও আহত হয়েছেন অনেক নিরপরাধ মুসলিম। কিছুদিন পূর্বেও মার্কিন বাহিনী চুক্তি ভঙ্গকরে কাবুল বাহিনীর সাথে মিলে তালেবান মুজাহিদদের উপর হামলা চালিয়েছিলো, তখন তালেবান মুখপাত্র কঠিন ভাষায় বলেছিলেন, এইধরণের চুক্তি লঙ্ঘন ও হামলার পরের পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে আমেরিকা ও তার মিত্র বাহিনী।