পশ্চিমাদের গোলাম মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৪টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন তালেবান মুজাহিদিন, এতে কমপক্ষে ৯০ সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
এরমধ্যে বাদাখশান প্রদেশ থেকে প্রাপ্ত খবরে বলা হয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর রাতে প্রদেশের জুরম জেলায় তালেবান মুজাহিদিন ও মুরতাদ কাবুল সরকারী সৈন্যদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে মুরতাদ বাহিনীর ছয়টি পোস্ট ভেঙে পড়ে। এবং বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় একজন তালেবান মুখপাত্র, মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন: “গত (১৭ নভেম্বর) রাতে বদখশান প্রদেশের জুরম জেলার ক্যাবুল পুল এলাকায় কাবুল বাহিনীর ৬টি পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছিল, এসকল পোস্টগুলো থেকে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হতো। আর মুজাহিদদের এই অভিযানে কাবুল সরকারের দুই সেনা কমান্ডার (সৈয়দ ওমর ও আমিনউল্লাহ) সহ ১৮ সেনা নিহত, ২৪ সেনা সদস্য আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ জীবন্ত বন্দী করেছেন আরো ৪ সৈন্যকে। এছাড়াও কাবুল বাহিনীর ২টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ তালিবান মুজাহিদিন গনিমত লাভ করেছেন।
একই জেলায় এদিন আরো একটি সফল হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদগণ। যার ফলে কমান্ডারসহ ১১ কাবুল সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
এদিকে তালেবানের আরেক মুখপাত্র ক্বারী মুহাম্মদ ইউসুফ আহমদী হাফিজাহুল্লাহ্ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পশ্চিম হেরত প্রদেশে গোরিয়ান জেলার রাস্তার পাশে কাবুল সরকারের ন্যাশনাল আর্মিকে টার্গেট করে একটি বোমা হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। উক্ত বোমা বিস্ফোরণে কাবুল সরকারের ন্যাশনাল আর্মির (এএনএ) কমপক্ষে ৮ সৈন্য নিহত ও তিন সৈন্য আহত হয়েছে।
অপরদিকে ১৭ নভেম্বর দুপুর ১০:৩০ মিনিটের দিকে ফরিয়াব প্রদেশের কায়সার জেলা কেন্দ্রের পুলিশ সদর দফতরের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ করেন তালেবান মুজাহিদগণ।
বিস্ফোরণে মুরতাদ কাবুল সরকারের স্পেশাল ফোর্সের ৪ সদস্য ও প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান (গাইবুল্লাহ সাদাত) এবং কায়সার গ্রুপের কমান্ডার (সিদ্দিক খান) সহ মোট ২৫ মুরতাদ সদস্য ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
