রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাকিবের বিরুদ্ধে একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। ১১ ইউপি সদস্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন এই তদন্ত করেছে। প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাকড়ী ইউপির ১১ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ২২ দফা অভিযোগ জানান। ২০ অক্টোবর ইউএনওর কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শুনানি হয়। সেখানে ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার তদন্ত করে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের পরিবারের মাত্র দুজন সদস্যের কবর রয়েছে, এমন একটি জায়গাকে পারিবারিক কবরস্থান ঘোষণা করে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ বার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচবারই সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য। এ ছাড়া দুইবার রাস্তা ও একবার সোলার প্যানেল স্থাপনের নামে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এখানে অনেক বড় দুর্নীতি হয়েছে।’ একইভাবে ভিন্ন ভিন্ন নাম দেখিয়ে একই রাস্তায় একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।