
সুনামগঞ্জের শাল্লায় দিনমজুর পরিবারের এক গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেছে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী পরিবারের এক হিন্দু বখাটে। ওই নারীর পরিবারের লোকজন থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা হিসেবে নেয়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে এসে ওই নারীর স্বামী তাঁর মা, স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
ওই নারীর স্বামী (৩৮) বলেন, তিনি কৃষিশ্রমিক। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং বৃদ্ধা মা-বাবা নিয়ে তাঁর সংসার। বাবা অসুস্থ। একই গ্রামের বাসিন্দা প্রজেশ দাস (৩২) তাঁর স্ত্রীকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৮ নভেম্বর বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় প্রজেশ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তিনি তখন ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ওই দিনই শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ২১ নভেম্বর রাতে মদ্যপ অবস্থায় প্রজেশ ঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বাবার চিৎকারে তিনি পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তিনি মৌলভীবাজার থেকে বাড়িতে আসেন এবং থানায় আরেকটি অভিযোগ দেন।
ওই স্বামীর ভাষ্য, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মিয়া ঘটনা তদন্তে যায়। তদন্ত শেষে গ্রাম থেকে ফেরার সময় তাঁকে বিষয়টি আপস মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন। ২৩ নভেম্বর আবার শাল্লা থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এবং তাঁর মা-বাবাও উপস্থিত ছিলেন। সবার উপস্থিতিতে থানায় এসআই সেলিম মিয়া তাঁদের পরিবার খারাপ বলে ওসিকে জানান। এ সময় তাঁরা এর প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য ওসিকে তাঁদের পরিবার ভালো বলে। পরে ওসি আবার তদন্ত করাবেন বলে কথা দিয়ে তিন দিন তাঁদের অপেক্ষা করতে বলেন। তিন দিন অপেক্ষা করে আবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাননি তাঁরা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসআই সেলিম বলেছে, থানায় মামলা রেকর্ড করতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। আমি গরিব মানুষ। খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন যায়, টাকা পাব কই?’
প্রথম আলো
এই মুর্তাদ পুলিশের জন্য আজ মালাউন হিন্দুগুলা এইটাকে ভারতের মত করতে চাইছে। এই বাড়াবাড়ি আর মেনে নেয়া যায় না অনেক সহ্য করছি আর না। প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা কেন শুনতে হয় এখন এটা বন্ধ করতেই হবে। সাহস কতবড় হিন্দু মালাউন যেগুলা সাহস পেত না কথা বলার তারা আজ এই ধরনের কাজ করার সাহস দেখাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক এর নাম করে হিন্দুদের প্রশাসনতো দিয়েই দিছে। স্কুল কলেজে হিন্দু মালাউন গুলা ঠিকই সাম্প্রদায়িক। আর আমরা বসে রয়েছি। আফসোস।
আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের অক্ষমতার জন্য।