ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ফ্রান্স সরকার ‘ব্যাপক ও নজিরবিহীন’ পদক্ষেপ চালু করেছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। কেস জানায়, ৭৬টি মসজিদকে বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্য সন্দেহজনক মনে করা হচ্ছে। এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।
দারমানিন বৃহস্পতিবার আরটিএল রেডিওকে দেয়া তার সাক্ষাতাকারটি টুইট করে লেখে, সামনের দিনগুলোতে এই প্রার্থনালয়গুলোতে (মসজিদ) তদন্ত করা হবে। যদি কোনো সন্দেহ প্রমাণিত হয়, আমি সেগুলো বন্ধ করে দিতে বলব।
এছাড়া দেশটি থেকে ’উগ্রবাদে’ সন্দেহভাজন ৬৬ জন অনিবন্ধিত শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে আরও কয়েকটি বরকতময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার জন্য ইসলামী উগ্রবাদকে দায়ী করছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সরকার। আর তা মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কার্টুন প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত ফ্রান্স।
মহানবীকে নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন প্রকাশের জেরে স্কুলশিক্ষক স্যামুয়েল প্যাতিকে হত্যা করা হয়। এরপর দেশটিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে গত ২০ অক্টোবর প্যারিসের বাইরের মসজিদ সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেয় ফ্রান্স।
এছাড়া ইতোমধ্যে দুইটি সংগঠন বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স। মুসলিম দাতব্য বারাকা সিটি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর পর্যবেক্ষণকারী নাগরিক অধিকার গ্রুপ কালেক্টিভ এগেইনেস্ট ইসলামোফোবিয়া ইন ফ্রান্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ’উগ্রবাদ’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি ফরাসি সরকারের।