রাসূল ﷺ এর সম্মান রক্ষার্থে আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (JNIM) জানবাজ মুজাহিদিন মালিতে অবস্থিত ক্রুসেডার ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে বিগত মাসে ৬টি সফল হামলা পরিচালনা করেছে।
গত ৪ ডিসেম্বর দলটির অফিসিয়াল আয-যাল্লাকা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত এক বার্তায় এসব হামলার দায় স্বীকার করে পশ্চিম আফ্রিকা ভিত্তিক আল-কায়েদার শক্তিশালী এই শাখাটি।
বার্তাটিতে রাসূল ﷺ এর প্রতি
দুরূদ ও সালাম প্রকাশের পর, মুসলিম শরীফে বর্ণিত রাসূল ﷺ একটি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে আমাদের সর্দার, প্রাণের স্পন্দন ও চোখের শীতলতা মহানবী ﷺ বলেছেন, “আমার উম্মতের মধ্যে আমাকে সবচেয়ে বেশি মহাব্বত করবে এমন কিছু মানুষ যারা আমার পরে আসবে, তাদের প্রত্যেকেই আমাকে শুধু একটু দেখার জন্যে নিজ পরিবার ও সব সম্পদ দিয়ে দিতে চাইবে”।
অতঃপর ﷺ এর সম্মান রক্ষার্থে গত নভেম্বর মাসে মালি জুড়ে ক্রুসেডার ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে মুজাহিদদের হামলার সংরক্ষিত রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে গত ৩০ নভেম্বর ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত মালির ৩টি অঞ্চলে অবস্থিত ক্রুসেডার ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আল-কায়েদা মুজাহিদদের সফল রকেট ও মিসাইল হামলা। হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত হওয়া এলাকাগুলো হলো:
১- কাইদাল শহরে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি।
২- গাও শহরে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি।
৩- মানাকা শহরে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি।
পশ্চিম আফ্রিকা ভিত্তিক একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছিলো, ঐদিন ক্রুসেডার ফ্রান্সের উক্ত ৩টি সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ১৭টি মিসাইল ও রকেট হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা। সাংবাদ মাধ্যমগুলো সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের হামলার পরের কিছু চিত্রও প্রকাশ করেছিলো। যেখানে দেখা যায়, সামরিক ঘাঁটির বিভিন্ন ভবন ও হামলার স্থানগুলো প্রচুর আগুন জ্বলছে, যার কারণে বড় বড় ধোয়ার কুন্ডলী উপরের দিকে উঠতে দেখা যায় এবং ঘাঁটিগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এদিকে হতাহতের সঠিক তথ্য গোপন করতে ঐদিন ঘটনাস্থলে কোন সাংবাদিককেও যেতে দেয়নি ক্রুসেডার ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী।
এদিকে আল-কায়েদা তাদের বার্তায় উল্লেখযোগ্য ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হবার কথাও জানিয়েছে।
এর আগে অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর মালির পশ্চিমাঞ্চলীয় কাইদাল শহরের আমশাশ এলাকায় ক্রুসেডার ফ্রান্সের একটি সামরিক বহর টার্গেট করে ২টি বোমা হামলা চালান মুজাহিদগণ। এই হামলায় ক্রুসেডার বাহিনীর উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারদের বহনকারী একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ধারণা করা হয়, এসময় গাড়িতে থাকা ক্রুসেডার সদস্যরা হতাহত হয়েছে।
এমনিভাবে ২১ নভেম্বর কাইদাল শহরে ক্রুসেডার ‘মিনোসুমা’ বাহিনীর একটি সামরিকযান টার্গেট করেও একটি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে সামরিকযানটি ধ্বংস হলে কতক ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়।
অপরদিকে গত ১৬ নভেম্বর সকাল ৯ টার সময় কাইদাল শহরে ক্রুসেডার ফ্রান্সের একটি সামরিক বহর টার্গেট করে সফল হামলা চালান জিএনআইএম মুজাহিদিন। যার ফলে ক্রুসেডার ফ্রান্সের ২ সৈন্য নিহত হয়।
সর্বশেষ পাপিষ্ঠ নরাধম ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ‘ম্যাক্রন’কে উদ্দ্যেশ্য করে উক্ত বার্তায় বলা হয়, যদি তুমি নিজের পাপ এবং অহংকার অব্যাহত রাখ এবং আমাদের নবী ﷺ কে অপমান করা বন্ধ না কর, তাহলে রাসূল ﷺ এর সম্মান রক্ষার প্রতি এবং তাকে সাহায্য করতে বিলিয়ন বিলিয়ন মুসলমানের হৃদয়ের অনুভূতিতে ক্রোধ বৃদ্ধি করবে। কেনানা তিনি ও তাঁর সম্মান আমাদের জীবন ও আমাদের কাছে যা কিছু আছে তার চেয়েও অধীকতর প্রিয় ও মূল্যবান। যার ফলে মালিতে তোমার সৈন্যরা তোমার অহংকারের চড়া মূল্য দিবে।
সুতরাং, হে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণের শত্রু! তুমি তোমার সৈন্যদের সুসংবাদ দাও, মালিতে তোমাদের জন্য যেই অশুভ দিনগুলো অপেক্ষা করছে।
আল্লাহু আকবার। আলহামদুলিল্লাহ। আমরাও প্রস্তুত আছি ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ
ভাইয়েরা আরো শক্তিনিয়ে এইমাসেও ,হামলা বাড়ান এই প্রত্যাশায় আছি ত
Amin
হে আল্লাহ আমার প্রাণের ভাইদের কে কবুল করুন এবং সফলতা দান করুন কাফের মুরতাদ দের গান গুলো ধ্বংস করার হিম্মত দান করুন সাহস দান করুন আল্লাহ আপনি সহায়ক হোন তাদের জন্য এবং তাদের উসিলা করে আমাকেও কবুল করে নিন আমীন সুম্মা আমীন
Alhamdulillah