মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে বিল পাস করলো ফ্রান্স

0
867
মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে বিল পাস করলো ফ্রান্স

বিভিন্ন মুসলিম দেশের আপত্তি উপেক্ষা করেই, ইসলামি চরমপন্থা দমনে নামে বিতর্কিত বিলে অনুমোদন দিলো ফ্রান্সের মন্ত্রিসভা। যাতে মুসলিম শিশুদের ঘরোয়া ধর্মীয় শিক্ষায় বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। অর্থাৎ ঘরোয়া পরিবেশে মুসলিম শিশুদেরও ইসলাম শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। বুধবার পাস হওয়া বিলটি নতুন বছরের শুরুতেই পার্লামেন্টে তোলা হবে। ম্যাকরন সরকারের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, বরং কট্টরপন্থা থেকে মুসলিমদের বাঁচাতেই এ আইন।

সবশেষ পরিসংখ্যানে, ফ্রান্সে মুসলিমের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ। তবে, ক্রুসেডার ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্ধেষী কার্যকলাপে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠির ওপর। সবশেষ, বুধবার, তথাকথিত কট্টরপন্থা ঠেকানোর নামে ইসলাম নিষেধাজ্ঞা নামে, একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে ফরাসি মন্ত্রিসভা। সরকারের দাবি, ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি সমুন্নত রাখতেই নতুন আইন।

ফরাসী প্রধানমন্ত্রী জ্য ক্যাসটেক্স বলেন, “এ বিল ইসলাম বা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। উল্টো, এটি একটি মুক্তির বিল, সুরক্ষার বিল। ধর্মীয় গোড়ামি থেকে মুক্তি দেবে এ বিল। ধর্মনিরপেক্ষতা সবাইকে বিশ্বাস করার বা না করার গ্যারান্টি দেয়। ফ্রান্সের সামাজিক পরিসরে কোনো ধর্মীয় চর্চাকেই প্রাধান্য দেয়ার সুযোগ নেই।”

বিতর্কিত এই আইনে, শিশুদের মূলধারার পাঠদানের বাইরে ঘরোয়া বা অনানুষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রমে নজরদারির বিধান রয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে, সমাজ ও রাজনীতিতে ইসলামি পরিচয় প্রকাশের ওপর।

জ্য ক্যাসটেক্স বলেন, “কট্টর ইসলামপন্থার মতো বিপজ্জনক একটি মূল্যবোধ ঠেকাতেই এ আইন। এ মূল্যবোধের লক্ষ্যই হলো মানুষের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে সমাজে হিংসা ও সহিংসতা ছড়ানো। এটাকেই আমরা বলছি, বিচ্ছিন্নতাবাদ। একটি গোষ্ঠি পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনের ওপরে ধর্মীয় মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করছে।”

কার্টুন বিতর্কের মধ্যে, ১৬ অক্টোবর এক শিক্ষক খুন হওয়ার পর থেকেই, নজরদারি বাড়ছে ফরাসী মুসলিমদের ওপর। তল্লাশি হয়েছে মসজিদেও। যদিও, অনেকেই সতর্ক করছেন, একটি ধর্মের মানুষকে কোণঠাঁসা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

প্যারিস মুসলিম এসোসিয়েশনের মহাসচিব নাজাত বেন আলি বলেন, “আমাদের সবাইকে আলাদা নজরে দেখা হচ্ছে। আসলে ইসলাম নিয়েই কিছু রাজনীতিকের সমস্যা। এর বিরোধিতা করাই তার মূল ব্যবসা।”

এখন পর্যন্ত এ বিল সম্পর্কে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোন প্রকার টু শব্দও করছে না। বরং তাদের নিরবতায় ফ্রান্সের সকল কুকীর্তির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে।

সূত্র : যমুনা টিভি

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেতানিয়াহুকে মিশর সফরের আমন্ত্রণ সিসির
পরবর্তী নিবন্ধ৩০ বছরে ৯৫ হাজার কাশ্মিরীকে শহীদ করেছে ভারতীয় বাহিনী