বাংলাদেশের সর্ববৃহত অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও শতবর্ষী পুরনো ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বারিধারা জামিয়ার পরিচালক বাংলাদেশের প্রবীণ ও প্রভাবশালী আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. জানাজার নামাজ সোমবার সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথমত জাতীয় ঈদগাহে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছিল।
জানাজার নামাজের ইমামতি করেছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ছোট ছেলে আল্লামা জাবের কাসেমী।
প্রবীণ এই আলেমকে তুরাগ থানায় অবস্থিত তার প্রতিষ্ঠিত জামিয়া সুবহানিয়া মাহমুদিয়া নগর মাদ্রাসার জামে মসজিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ইন্তেকাল করেছিলেন। (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিয়ুন)
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। ইন্তেকালের সময় তিনি দুই পূত্র ও দুই কণ্যাসন্তান রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য নির্বাচিত মহাসচিব ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী প্রাচীন শতবর্ষী আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দের সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ছিলেন। এছাড়াও ঢাকার প্রসিদ্ধ মাদ্রাসা জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা তিনি শায়খুল হাদীস এবং মহা পরিচালক ছিলেন। প্রায় তিন দশক ধরে হাদিসের দরস দেওয়া প্রবীণ ও সুপ্রসিদ্ধ এই আলমের ইন্তেকাল বাংলাদেশ ইসলামী অঙ্গনে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে বলে সবাই মনে করছেন।
😥😥😥❤😍 আমরা একজন অভিভাবক হারালাম, আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন।
যখন শাপলার রক্তকে অস্বীকার করা হয়েছিল, তখন তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন।
যখন ১৫১জন আফগান হাফেজ শিশুকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তখন বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কারো পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি না এলেও একমাত্র তিনিই প্রথম কথা বলেছিলেন।