সেক্যুলার তুর্কি প্রজাতন্ত্র গত বুধবার সংসদে প্রস্তাব দিয়েছিল যে, ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন মিশনের অংশ হিসাবে আফগানিস্তানে যেন তুর্কি বাহিনীর মিশন আরো ১৮ মাস বাড়ানো হয়।
আফগান ভিত্তিক ‘আযম টিবি’ তুরস্কের একটি দৈনিক সংবাদ মাধ্যম ‘সাবাহ’র বরাত দিয়ে বলেছে যে, প্রস্তাবটি নিয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের পর সংসদে পুনরায় আলোচনা শুরু হবে। ক্রুসেডার ন্যাটোর কৌশলগত সহায়তা মিশনকে বাস্তবায়ন করতে, আফগানিস্তানে আমেরিকার গোলাম মুরতাদ কাবুল সরকারী বাহিনীকে নিত্যনতুন প্রশিক্ষণ, সামরিক বাহিনীকে সজ্জিত করণ এবং সর্বাত্মক সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে তালেবানদের বিরুদ্ধে কাবুল বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত করাই হচ্ছে তুর্কি বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য।
তুরস্কের সেনারা ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ক্রুসেডার ন্যাটো বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় আফগানিস্তানে তালেবান বিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসাবে এখানে অবস্থান করছে। বর্তমানে তুর্কি বাহিনী রাজধানী কাবুল ও ময়দানে-ওয়ার্দাক প্রদেশে মুরতাদ কাবুল বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও এখানে প্রতিষ্ঠিত সেক্যুলার রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
‘সাবাহ’ এর ভাষ্যমতে, তুর্কি সেনারা বর্তমানে যুদ্ধ পরিচালনায় জড়াচ্ছে না, তবে কাবুল বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও পরামর্শের কাজটা নিষ্ঠার সাথে পালন করছে।
পত্রিকাটির মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এমন আইন করা হয়েছিল যাতে ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন মিশনকে সহায়তা করার জন্য সরকার আফগানিস্তানে আরো সেনা প্রেরণ করতে পারে। ২০১৫ সালে প্রথম পাস করা এই বিলটিতে সরকারকে ক্রুসেডার সেনাদের তুরস্কের মাধ্যমে আফগানিস্তান সহ অন্যান্য মুসলিম দেশে প্রবেশ করে হামলা চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
তুরস্কের সেক্যুলার রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আফগানিস্তানে তুরস্কের সেনা মিশনের মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান এমন একটি সময় জানিয়েছে, যখন ক্রুসেডার আমেরিকা তালেবানদের সাথে চুক্তি করে আগামী বছরের বসন্তের মধ্যে সমস্ত বিদেশী সেনাদের আফগান ত্যাগের নির্দেশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সোমালিয়া থেকেও ক্রুসেডার আমেরিকা নিজেদের সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিকে এরদোয়ানের সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত সেখানে সেনা বৃদ্ধি করছে। মুজাহিদদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সোমালীয় মুরতাদ বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ইয়া আল্লাহ তোমার সাহায্য বহু গুন বাড়িয়ে দাও